প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ চবির সাবেক প্রক্টর

ড. মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী
ড. মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী  © টিডিসি সম্পাদিত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় দুই বছরের জন্য পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সাবেক প্রক্টর ও পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরীকে।

শুক্রবার  (১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫৯তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এর আগে ২০২৪ সালের ৫ ডিসেম্বর সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ৪১৯ নম্বর কোর্সের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটে। পরীক্ষা শুরুর আগেরদিন বিকেলে সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারীর কাছে একটি উড়ো চিঠি আসে। চিঠিতে অভিযোগ করা হয় একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন দিচ্ছেন। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ অন্যান্য দায়িত্বশীলরা বিভাগে যান এবং উড়োচিঠির সাথে থাকা প্রশ্নের সাথে শিক্ষার্থীদের কাছে থাকা প্রশ্নের হুবহু মিল পান। তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষা স্থগিত করা হয় এবং বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আল আমিনকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। 

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে পরীক্ষা কমিটির সভাপতির দায়িত্বহীনতা এবং প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে পর্যাপ্ত সতর্কতা অবলম্বন না করাই মূলত এ ঘটনার জন্য দায়ী বলে উল্লেখ করা হয়।  

এ ঘটনায় তদন্তকালীন সময়ে অধ্যাপক আলী আজগর চৌধুরী বলেন, কম্পোজের জন্য গুগল ড্রাইভে রাখা প্রশ্ন বেহাত হয়ে ফাঁস হয়ে থাকতে পারে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, অধ্যাপক আলী আজগর চৌধুরীকে আগামী দুই বছরের জন্য সকল ধরনের পরীক্ষাসংক্রান্ত কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।  


সর্বশেষ সংবাদ