সেশনজট নিরসনের দাবিতে আমরণ অনশনে চবির শিক্ষার্থীরা

আমরণ অনশনে চবির ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ১২ জন শিক্ষার্থী
আমরণ অনশনে চবির ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ১২ জন শিক্ষার্থী  © টিডিসি ফটো

বিভাগের অসহনীয় সেশনজট নিরসন ও অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশের দাবি জানিয়ে আমরণ অনশনে বসেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ১২ জন শিক্ষার্থী। শনিবার ( ২৪ মে)  দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা। 

অনশনরত ১২ শিক্ষার্থী হলেন- ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী স্বাধীন বসু মিয়া ও ক্যাএসিং মারমা, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মোহাইমিন আনাম, ওয়ালিউল্লাহ, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আবু রাজিন মন্ডল, তারেক মাহমুদ, হাফসা কাউসার মিশু, মোহাম্মদ জাভেদ, বখতিয়ারুল ইসলাম, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের মিফতাহ জাহান মীম, পাবত্রী রানী ও শ্রুতি রাজ চৌধুরী।

দুইটি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি দু'টি হলো- সেশজট নিরসন ও সর্বোচ্চ ৪ মাসের ভেতরে ক্লাস ও পরীক্ষা শেষ করার মাধ্যমে সেমিস্টার শেষ করা এবং কমপক্ষে আগামী ১২ মাস বা ৩ সেমিস্টারের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশের মাধ্যমে ক্লাস শুরু, ফর্ম ফিলআপ, পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ ও ক্যালেন্ডার  অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রতিশ্রুতি লিখিত আকারে প্রদান করতে হবে।

অনশনে বসা আরাফাত হোসেন বলেন, আমরা নিরুপায় হয়ে গেছি। আমাদের ৪ বছরের অনার্স শেষ করতে লাগে ৮ বছর। তাহলে আমাদের ক্যারিয়ার কোথায়? এই সমস্যা নিরসনের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। বিগত প্রশাসন শুধু আশ্বাসই দিয়েছে। কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। এখন আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এজন্যই অনশনে বসতে বাধ্য হয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা অনশন থেকে পিছপা হব না। 

অনশনকারী শিক্ষার্থী মিফতাহ জাহান মীম বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরেই সিনিয়রদের দুই তিনটা আন্দোলন দেখেছি। বিগত প্রশাসনের আমলেও আন্দোলন করতে হয়েছিল, এখনও করতে হচ্ছে। সেশনজট দূর করার ব্যাপারে এই প্রশাসনের সাথে দুই তিনবার কথা হয়েছে। কিন্তু এখনও তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেয়নি। অথচ অনেক সিনিয়রদের চাকরির বয়স চলে যাচ্ছে। কারও পরিবারের সমস্যা। এগুলো কে দেখবে? আমরা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাই। '

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, বিভাগের পরিচালকবৃন্দ এবং সভাপতি এসে সেশনজট নিরসনের রোডম্যাপ ঘোষণা করলেই ঝামেলা বন্ধ হয়ে যায়। এইসব ক্ষেত্রে আমাদের খুব একটা করণীয় থাকে না যদি না সংশ্লিষ্ট বিভাগ তাদের পরিকল্পনা প্রকাশ না করে।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!