৫ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন জাবি শিক্ষার্থীরা

  © টিডিসি ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রথম বর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিল হয়নি। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দেয়া তিনটি দাবির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একাত্মতা পোষণ করায় ৫ ঘণ্টা পর অনশনরতরা তাদের অনশন ভেঙেছেন। সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দেওয়া দাবি গুলো মেনে নেন এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানান।

তাদের দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে মোট শিক্ষার্থীর ২ শতাংশ অর্থাৎ সর্বোচ্চ ৪০ জন (শিক্ষার্থী শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সন্তান) পোষ্য কোটায় ভর্তি হতে পারবেন এবং পোষ্য কোটায় পাস নম্বর ৩৫ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ; পোষ্য কোটা শুধু একবার একজনের জন্যই ব্যবহার করা যাবে এবং সেটা অবশ্যই শিক্ষক কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ঔরসজাত সন্তান হতে হবে এবং পোষ্য কোটা ব্যবহার করে কোনো শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী কর্মরত বিভাগে ভর্তি করাতে পারবেন না। দাবিসমূহ ২০২৪- ২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়েছে। 

এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের দাবিতে ফের আমৃত্যু গণঅনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে অনশন শুরু করেন আট শিক্ষার্থী। পরে রাতে অনশনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪ জনে। পরে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান সোমবার দুপুর ৩টায় শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা করে সিদ্ধান্ত নেবেন এমন আশ্বাসে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তারা অনশন স্থগিত করেন।

এরপর সোমবার দুপুরে সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন এবং জানান, তারা পোষ্য কোটার বিষয়ে একটি কমিটি করেছে এই কমিটি প্রতিবেদন দেওয়ার পর তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। উপাচার্যের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা ফের অনশনে বসেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ