জাবিতে আটকে রাখা ৩৪ বাস ছেড়ে দিলেন শিক্ষার্থীরা
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৯ AM , আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৫, ১২:১৪ PM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আটকে রাখা বাসের মধ্যে ৩৪টি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সময় এক শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে একটি আটকে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। এক ছাত্রীর সঙ্গে অসদাচরণের জেরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী রাজধানী পরিবহনের প্রায় ৩৫টি বাস আটকে রাখেন তারা।
জানা গেছে, মালিকপক্ষ থেকে রাজধানী পরিবহনের সাভারের লাইনম্যান আব্দুল জব্বার খোকা তাৎক্ষণিক উপস্থিত হন। এরপর রাজধানী বাস শ্রমিক কমিটির সভাপতি মো. ইউসুফ আলী আসেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের তিন দাবি মানার আশ্বাসের ভিত্তিতে রাত পৌনে ১০টার দিকে ৩৪টি বাস ছেড়ে দেওয়া হয়।
দাবির মধ্যে রয়েছে- শিক্ষার্থী বিশেষ করে ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরন করা যাবে না; শিক্ষার্থীদের কাছ থাকে হাফ ভাড়া নিতে হবে, এ নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করা যাবে না; বাস চলন্ত অবস্থায় যাত্রী ওঠানো বা নামানো যাবে না এবং বাসের অভ্যন্তরে বিড়ি, সিগারেট বা অন্যান্য মাদকদ্রব্য গ্রহণ করা যাবে না।
এদিকে বাস আটকানোর সময় ধাক্কা লেগে তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম পায়ে আঘাত পান। পরে বাসের চালককে কিছু শিক্ষার্থী মারধর করেন। শরিফুল ইসলামের ভাষ্য, বাস আটকানোর সময় তাঁর সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়, ফলে অন্য সব বাস ছেড়ে দিলেও একটি আটক রাখা হয়েছে।
আরো পড়ুন: জাবি শিক্ষার্থীর সাথে অসদাচরণের জেরে রাজধানী পরিবহনের ৩৫ বাস আটক
তিনি জানান, মালিকের সঙ্গে কথা বলে মোবাইল ফোনের ক্ষতিপূরণ ও বাসে শিক্ষার্থীরা যেন হয়রানির শিকার না হয় এমন শর্তসাপেক্ষে বাসটি ছাড়া হবে।
এর আগে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন সড়কে বাসগুলো আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা। অসদাচরণের শিকার ছাত্রী বলেন, ‘আমি সাড়ে তিনটার দিকে জয় বাংলা গেইট (প্রান্তিক গেইট) থেকে নবীনগরের দিকে যাওয়ার জন্য রাজধানী বাসে উঠি। এ সময় বাসের কর্মীরা দুর্ব্যবহার করেন। গাড়িতে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকার পরেও তিনি আমাকে সরে, একলাইনে দাঁড়াতে বলেন। একজন নারী শিক্ষার্থী হওয়ার পরও তিনি আমার সাথে উচ্চবাচ্য করেন।’