ক্যাম্পাসে পথরোধ করে জাবি ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, ছাত্রের ফোন ছিনতাই
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ০২:৪১ PM , আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪, ০২:৪৮ PM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা ও দুই শিক্ষার্থীর মুঠোফোন ছিনতাইয়ের পর আটকে রেখে টাকা দাবির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ক্যাম্পাসের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত দুজন হলেন, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার খলিলপুর গ্রামের নাজমুল হাসান ও চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার আলামিন। তাঁরা দুজন বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) কর্মচারী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখা ও ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা যায়, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন ও আরেক নারী শিক্ষার্থী গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনের পাশ দিয়ে মনপুরা এলাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই তিনজন পথরোধ করে শিক্ষার্থীদের মুঠোফোন ছিনিয়ে নেন। এলাকাটি তুলনামূলকভাবে নির্জন হওয়ায় সেখানে দুই শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন তাঁরা। অন্যথায় নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা ও মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে ওই নারী শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাবও দেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। প্রায় তিন ঘণ্টা পর রুহুল কৌশলে বন্ধুদের ফোন করে বিষয়টি জানান। পরে কয়েকজন শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এ সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বেধড়ক মারধর করেন। তাঁদের মধ্যে একজন পালিয়ে গেলেও বাকি দুজনকে আটক করে আশুলিয়া থানার পুলিশে সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখা।
পরে রাত পৌনে একটায় আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক নুর আলম মিয়া অভিযুক্ত, ভুক্তভোগী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে আশুলিয়া থানায় যান। ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন ।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির গণমাধ্যমকে বলেন, যেহেতু অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বহিরাগত, তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধি দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। এ–সংক্রান্ত ঘটনায় রাষ্ট্রীয় আইনে ব্যবস্থা নিতে হয়। নিরাপত্তা শাখার সহযোগিতায় ওই ছাত্রী গতকাল রাতেই থানায় গিয়ে মামলা করেছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ।