শতভাগ কোটার ‘ব্যঙ্গাত্মক’ দাবির প্ল্যাকার্ড হাতে চবি ছাত্র সিয়াম
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৪, ০২:৫২ PM , আপডেট: ০৮ জুন ২০২৪, ০৩:০৭ PM
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে ভিন্নধর্মী কর্মসূচি করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়ব আহমেদ সিয়াম।
শনিবার (৮ জুন ২০২৪) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে ‘শতভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটার দাবিতে মানববন্ধন’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা যায় তাকে। সিয়ামের এমন কর্মসূচিকে ‘ব্যঙ্গাত্মক’ বলে উল্লেখ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
জানতে চাইলে সিয়াম বলেন, আমি আজকে তিন দফা দাবি নিয়ে একক অবস্থান কর্মসূচিতে হাজির হয়েছি। সেগুলো হলো- শতভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাস্তবায়ন করতে হবে; জন্মের পূর্বেই ভ্রূণের ক্ল্যাসিফিকেশনের মাধ্যমে পূর্ণ বর্ণবাদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং আমার সাথে চার জন মুক্তিযোদ্ধার নাতনিকে বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, ২.৬৩ শতাংশ মানুষের জন্য ৫৩ শতাংশ কোটা বরাদ্দ করা হচ্ছে। আমি বরং চাকরি এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা উভয় ক্ষেত্রে শতভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাস্তবায়নের দাবি জানাবো। প্রশ্ন আসবে, বাকিরা কী করবে তাহলে? এই জন্যই জন্মের পূর্বেই ভ্রূণের ক্ল্যাসিফিকেশনের মাধ্যমে পূর্ণ বর্ণবাদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কোটাধারীরা হবে ব্রাহ্মণ। তারাই শুধু পড়াশোনা ও উচ্চপদে চাকরির সুযোগ পাবে। কোটা সমর্থনকারীরা হবে ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য। তারা ভার্সিটিতে মুড়িমাখা বিক্রির লাইসেন্স পাবে।
অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করে সিয়াম বলেন, কোটা বিরোধীরা হবে শূদ্র। তাদেরকে বিভিন্নভাবে জুলুম করা হবে। আর আমি কোটার পক্ষে হলেও আমার দাদা-নানা কেউই যুদ্ধ করেননি। এ ব্যাপারে আমি অনুতপ্ত। সম্ভব হলে তাদেরকে কবর থেকে তুলে জিজ্ঞাসাবাদ করতাম। এখন আমার অনুতাপ মেটাতে এবং ছেলেমেয়ের জন্য কোটা নিশ্চিত করতে চার জন মুক্তিযোদ্ধার নাতনিকে বিয়ে করার ইচ্ছা পোষণ করি। এ ব্যাপারে আপনাদের সাহায্য কামনা করছি।
নিজের ‘ব্যঙ্গাত্মক’ কর্মসূচি নিয়ে সিয়াম বলেন, আমার দাবি আপনাদের কাছে তামাশা মনে হলেও রাষ্ট্র আমাদের সাথে আরও বড় তামাশা করছে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমার কোনো অসম্মান নেই। হাইকোর্টের প্রতি সম্মান রেখেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমিও একদিন কোটার বিপক্ষে দাঁড়াবো। যেদিন কোটাধারীরা নিজেরাই একযোগে কোটার বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। সেদিন যদি না আসে তাহলে শতভাগ কোটার রাজত্ব কায়েম করে পূর্ণ বর্ণবাদ প্রতিষ্ঠার দাবি থাকবে।