গেস্টরুমে অজ্ঞান ঢাবি ছাত্র, ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৫ PM , আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৫ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রলীগের গেস্টরুম চলাকালে নিয়ামুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী অজ্ঞান হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে বিজয় একাত্তর হলের গেস্টরুমে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা যাতে বাইরে না যায়, তাই তাকে হাসপাতালে নিতেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে হল প্রশাসন। ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম নিয়ামুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী।
বিজয় একাত্তর হলের গেস্টরুমে শিক্ষার্থীদের জবাবদিহি নিচ্ছিলেন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাব্বি আহম্মেদের কর্মীরা। রাব্বি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারী বলে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভুক্তভোগী নিয়ামুল ইসলামকে গেস্টরুমে দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড় করিয়ে রাখেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তখন তিনি তীব্র গরমে তার শারীরিক অস্বস্তির কথা জানান। তবে তার কথা আমলে নেননি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে এক পর্যায়ে রাত ১০টার দিকে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান ওই শিক্ষার্থী। এ অবস্থায় তার সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তার মাথায় পানি দেন তার সহপাঠীরা। নিয়ামুল ইসলামের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিতে চাইলেও তার সহপাঠীরা সংগঠনটির নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়েন।
ভুক্তভোগী নিয়ামুল ইসলাম বলেন, গেস্টরুমে অতিরিক্ত গরমের কারণে আমি মাথা ঘুরে পড়ে যাই। পরে আমার বন্ধুরা ধরে রুমে নিয়ে আসে এবং মাথায় পানি দেয়। এখন কিছুটা ভালো আছি।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহ মিরানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- আবাসিক শিক্ষক মোহা. জাহাঙ্গীর হোসেন এবং আবু হোসেন মুহাম্মদ আহসান। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য বলা হয়।
সার্বিক বিষয়ে বিজয় একাত্তর হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আমি ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছি। তারা ৭ কার্য দিবসের মধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট প্রদান করলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।