ঢাবিতে কোরিয়ান ভাষা বিভাগ চালুর সম্ভাব্যতা নিয়ে দু’পক্ষের আলোচনা

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন  © সংগৃহীত

বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন। রোববার (১০ ডিসেম্বর) সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা কোর্সের আরও সম্প্রসারণের ব্যাপারে আলোচনা হয়।

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরিয়ান ভাষা বিভাগ চালুর সম্ভাব্যতা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা করা হয়। তারা কোরিয়ায় কর্মসংস্থানের জন্য শিক্ষার্থীদের ভাষাগত দক্ষতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বাংলাদেশে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি এবং কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের কাছে প্রযুক্তিগত সহায়তা চান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ  কোরিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। বাংলাদেশের সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়া গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে।

দু’দেশের মধ্যে বিরাজমান এ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। উপাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোরিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ব্লু ইকোনমি বিষয়ে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালুর উপর গুরুত্বারোপ করেন।

পরে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক জনবক্তৃতা প্রদান করেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের পরিচালক অধ্যাপক ড. সামসাদ মর্তূজা অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন। 

আরো পড়ুন: ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত তার দেশের সার্বিক উন্নয়ন বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন এবং বাংলাদেশের পোশাক শিল্প, ব্যবসা, বানিজ্যসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে দু’দেশের মধ্যে যৌথ সহযোগিতামূলক কর্মসূচি চালুর ব্যাপারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশে প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি ‘ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া’ সম্পর্ক আরও জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল জনবক্তৃতা প্রদানের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে শিক্ষা নিয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ