ঢাবির রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে ভোগান্তি, সাকিবের ভিডিও ভাইরাল

সাকিব বিন রশীদ
সাকিব বিন রশীদ  © সংগৃহীত

‘‘যাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সৌভাগ্য অথবা দুর্ভাগ্য হয়নি, তারা জানবেন না আসলে এই বিল্ডিংটার মধ্যে কোন বিভীষিকা লুকিয়ে আছে। আল্লাহ না করুক, যদি আপনার একটা ট্রান্সক্রিপ্ট কিংবা সার্টিফিকেট তোলার দরকার হয়, তাহলে মনে হবে যে এটা একটা ফুল টাইম জব।’’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে ভবনটির কর্তা ব্যক্তিদের আচরণ নিয়ে ফেসবুকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থী সাকিব বিন রশীদ এ অভিজ্ঞতার কথা জানান। গতকাল রবিবার (১২ নভেম্বর) তার নিজের ফেসবুকে দেওয়া ওই ভিডিও বার্তা ইতিমধ্যে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে হয়েছে।

ভিডিও বার্তায় রেজিস্ট্রার ভবনের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে সাকিব বলেন, এই পুরো বিল্ডিংটাকে একটা ওয়েবসাইট দিয়ে রিপ্লেস করা সম্ভব। কিন্তু একটা না তিন তিনটা ওয়েবসাইট বানানো হয়েছে। তবুও এই বিল্ডিং রিপ্লেস হয়নি।

আরও পড়ুন: ঢাবির রেজিস্ট্রার ভবনে ‘স্যার’ না বলায় শিক্ষার্থীর ওপর ‘খেপলেন’ কর্মকর্তা

তিনি বলেন, অনেকগুলো অবেদন আপনি অনলাইনে করতে পারবেন। পুরো প্রসেসটা আবার অনলাইনে না। অনলাইনে করা আবেদনটা আপনাকে আবার প্রিন্টআউট নিতে হবে। তারপর সেটা নিয়ে এ ভবনে সশরীরে ফের আসতে হবে।

সাকিব বিন রশীদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের অনার্স ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।

সাকিব টেন মিনিট স্কুলের একদম প্রথম ইন্সট্রাক্টরদের একজন। তিনি ২০১৫ সাল থেকে টেন মিনিট স্কুলের লাখো শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি গ্রামার, স্পোকেন, সাধারণ জ্ঞান ও নানারকম দক্ষতা উন্নয়নমূলক ভিডিও ও কোর্স তৈরি করে আসছেন।

ঢাবির রেজিস্ট্রার ভবন নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, একটা কাজ নিয়ে আপনাকে এখানে সপ্তাহে ৩-৪ দিন আসতে হবে। প্রতিদিন আপনি সকাল বেলা আসবেন। প্রায় প্রতিদিন আপনাকে বলা হবে আপনি লাঞ্চের পরে আসেন। লাঞ্চ সাধারণত ১-২টা পর্যন্ত হয়। কিন্তু ২টার পরে গিয়েও দেখবেন কেউ আসেনি। সাধারণত অফিস পাঁচটায় ছুটি হয়। কিন্তু এখানে চারটার মধ্যে অফিস ছুটি এবং সকাল দশটার মধ্যে এসেও কাউকে পাবেন না।

আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবন— কোন কক্ষে কোন অফিস

‘‘আপনি অনলাইনে টাকা জমা দিয়েছেন। পরে আপনাকে এখান থেকে কিছু একটা লিখে দেবে। লেখার উপর ভিত্তি করে ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা দিয়ে আসতে হবে। আপনাকে হলে যেতে হতে পারে, প্রভোস্টের কাছে যেতে হতে পারে। টিএসসির ব্যাংকে যেতে হতে পারে। এখানকার সোনালী ব্যাংকে যেতে হতে পারে। কোথায় যেতে হবে এটা কিন্তু আপনি আগে থেকে জানবেন না।’’

তিনি আরও বলেন, সারাদিন আপনি চরকির মতো, পিয়নের মতো ঘুরতে থাকবেন। কিন্তু আপনার কাজ ঠিকমতো হবে না। যাইহোক আমার ছয় নম্বর বা সাত নম্বর দিন চলে, এখানে একটা ট্রান্সক্রিপ্টের জন্য আসছিলাম আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন আমার আজকের মধ্যে হয়ে যায়।


সর্বশেষ সংবাদ