একাধিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন ঢাবির ২ কর্মকর্তা, নেন বেতনও
- মুহাইমিনুল ইসলাম, ঢাবি
- প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫০ AM , আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪১ AM
একই সময়ে দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিলঙ্ঘন করে দীর্ঘদিন ধরে তারা এভাবে কাজ করে নিয়মিত বেতনও তুলছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, অনুমতি ছাড়া একইসঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ নেই। কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ ধরনের কাজের সত্যতা পাওয়া গেলে বিধি অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নেবেন।
ওই দুই কর্মকর্তার একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রের উপপরিচালক মো. আজাদ রহমান ও একই অফিসের আরেক উপপরিচালক এস এম জাকারিয়া বাবু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা একই সময়ে অন্য কোথাও চাকরি করতে পারবেন না। অন্য কোথাও চাকরি করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুমতি নিতে হবে এবং আয়ের একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে জমা দিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিরত অবস্থায় অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মকর্তার এ ধরনের কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। -উপ উপাচার্য, ঢাবি
জানা যায়, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রের উপপরিচালক আজাদ রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে ২০২০ সাল থেকে ফেডারেশনে হেড অব রেফারিজ হিসেবে কর্মরত আছেন। সেখানে মাসে প্রায় ৪০ হাজার টাকা বেতন পান তিনি। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক হিসেবে বেতন পান ৫০ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: খেলার জোরে ঢাবিতে পড়ার সুযোগ ৪৯ জনের
আরেক উপপরিচালক জাকারিয়া বাবু ঢাবির বাইরে ঢাকা আবাহনীর কোচের দায়িত্ব পালন করছেন ২০১৮ সাল থেকে। এর আগে ছিলেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কোচ। চুক্তিভিত্তিক মাসে কয়েক লাখ টাকা বেতন পান তিনি। এ দুই কর্মকর্তার বাইরে শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রের আরও কয়েকজন কর্মকর্তা বিভিন্ন ফেডারেশনের কমিটিতে যুক্ত রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
একাধিক প্রতিষ্ঠানে চাকরির বিষয়ে জানতে চাইলে এস এম জাকারিয়া বাবু দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি মোবাইলে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না। অপর উপপরিচালকের আজাদ রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি নিয়ম অনুসরণ করে কাজ করছি।
আমরা বিষয়টি জানার পর তাদের উভয়কে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে লিখিত অনুমতি নিতে বলেছি। এ বিষয়ে একাধিক মিটিংও হয়েছে। কিন্তু তারা অনুমতি নিয়েছেন কিনা, সে বিষয়ে জানা নেই। -পরিচালক, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র
ঢাবির এ দুই কর্মকর্তার আচরণ ভালোভাবে নেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. শাহজাহান আলী। তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি জানার পর তাদের উভয়কে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে লিখিত অনুমতি নিতে বলেছি। এ বিষয়ে একাধিক মিটিংও হয়েছে। কিন্তু তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে অনুমতি নিয়েছেন কিনা, সে বিষয়ে আমার জানা নেই।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য ও স্পোর্টস বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিরত অবস্থায় অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মকর্তার এ ধরনের কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।