খেলার জোরে ঢাবিতে পড়ার সুযোগ ৪৯ জনের
ভর্তি নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই: ভিসি
- জোবায়ের হোসাইন, ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:০৪ PM , আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৪২ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তিতে অবশ্যই পরীক্ষায় বসতে হয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের। এরপর নিদির্ষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়ে থাকেন তারা। তবে চলতি ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট থেকে কোনো পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি সুযোগ পেয়েছেন ৪৯ জন শিক্ষার্থী। সম্প্রতি এসব শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃৃপক্ষ।
তাহলে পরীক্ষা না দিয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সুযোগ পেলেন এসব শিক্ষার্থী— এমনটা ভেবে নড়েচড়ে বসতেই পারেন অনেকেই। মূলত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খেলাধুলায় অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের ভর্তির জন্য বিশেষ এই সুযোগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর ফলে দীর্ঘ ১৯ বছর পর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও চালু হল খেলোয়াড় কোটা।
“এর জন্য এখন সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে। তাই এখন এগুলো নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই। নীতিমালার অভাব যখন হয়, প্রক্রিয়া যখন ত্রুটিপূর্ণ থাকে তখন বিতর্ক সৃষ্টি হয়”—খেলোয়াড় কোটা ভর্তি প্রসঙ্গে ঢাবি ভিসি
বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলাধুলার মানোন্নয়ন, মানসম্মত খেলোয়াড় তৈরি এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরির লক্ষ্যে খেলোয়াড় কোটায় শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সব নিয়ম কানুনও অনুসরণ করেছেন তারা। কেবল অন্যদের মতো নিয়ম করে ভর্তি পরীক্ষায় বসতে হয়নি তাদের।
কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের সমন্বয়ক এবং কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ছয় থেকে সাতটা শর্ত দেখে আমরা মূলত তাদেরকে ভর্তির জন্য নির্বাচন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যে খেলাধুলাগুলো হয় যেমন- আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়ান গেমস—এগুলোকে মাথায় রেখে আমরা বিভিন্ন পর্যায়ের খেলোয়াড়দেরকে সুযোগ দিয়েছি।
আসন্ন বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া ক্রিকেটার তাওহীদ হৃদয়, জাতীয় ফুটবল দলের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো, নারী ফুটবল দলের ঋতুপর্ণা চাকমা, নিলুফার ইয়াসমিন নিলা, মিডফিল্ডার শেখ মোরসালিন, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের আরিফুল ইসলাম, নারী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের রিয়া আক্তার শিখা, বক্সার খন্দকার আরিফ হাসানসহ বিভিন্ন খেলায় জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণকারী অনেকেই ভর্তির এ তালিকায় রয়েছেন।
আর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, খেলোয়াড় কোটায় ভর্তি নিয়ে এখন আর বিতর্কের সুযোগ নেই। কেননা এর জন্য এখন সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে। নীতিমালার অভাব যখন হয়, প্রক্রিয়া যখন ত্রুটিপূর্ণ থাকে তখন বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এখন আমাদের চমৎকার গাইডলাইন আছে, মাপকাঠি আছে, বাটখারা আছে সেই নীতিমালার আলোকে সবকিছু হয়েছে।
বির্তকের জেরে বন্ধ ছিল ১৯ বছর?
একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড় কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হত। তবে বির্তকের জেরে ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। তারপর ২০০৮-০৯ সালের দিকে একবার চালুর কথাবার্তা চললেও তখন সেটি আর হয়ে উঠেনি।
ভর্তির সুযোগ পাওয়া খেলোয়াড়দের তালিকা
সেসময় খেলোয়াড় কোটায় ভর্তিতে কেমন বির্তক ছিল—এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, অনেকে এই কোটায় ভর্তি হতে যেসব কাগজপত্র ভর্তির সময় প্রদর্শন করতেন, পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে দেখা যেত তা অনেক সময় তা ভুয়া হতো। তখন দেখা যেত, সেই শিক্ষার্থী হয়ত অনিয়মিত খেলোয়াড় অথবা কোনো খেলোয়াড়ও নন। এতে কোটায় ভর্তিতে এক ধরনের অনিয়মের সুযোগ থেকে যেত। তবে বর্তমানে সেই সুযোগটি আর রাখা হয়নি বলে তিনি জানান।
অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক শাহজাহান আলী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলোয়াড় কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছিল। ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে সেটি বন্ধ হয়ে যায়।
এ সুযোগ যাদের জন্য
জাতীয় দলের বর্তমান খেলোয়াড়, জাতীয় দলের ‘এ’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড় এবং বয়সভিত্তিক অনূর্ধ্ব ১৬ থেকে ২৩ দলের সদস্য হয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং অ্যাথলেটিকস, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, সাঁতার, টেনিস, দাবা, ক্যারমসহ বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় জাতীয় র্যাঙ্কিং অনুযায়ী ১ থেকে ৫-এর মধ্যে থাকা প্রার্থীরাই কেবল ইউনিটভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির এই বিশেষ সুযোগ পাবেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে ওই বিধিমালায়।
খেলোয়াড় কোটায় এখন আর বিতর্কের সুযোগ নেই: ভিসি
আগে খেলোয়াড় কোটা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও এখন আর বিতর্কের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, যাদেরকে আমরা নিয়েছি তারা খেলাধুলায় অসাধারণ কৃতিত্ব রেখেছে। তারা আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সামগ্রিকভাবে খেলাধুলার মান বৃদ্ধি পাবে। যা শিক্ষার্থীদের মাঝেও একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এতে খেলোয়াড় ও শিক্ষার্থীরা শারিরীক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকবে। তাছাড়া এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বগুণ সম্পন্ন হয়ে গড়ে উঠবে।
এ নিয়ে বিতর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এখন এগুলো নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই; এখন সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে। নীতিমালার অভাব যখন হয়, প্রক্রিয়া যখন ত্রুটিপূর্ণ থাকে, তখন বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এখন আমাদের চমৎকার গাইডলাইন আছে, মাপকাঠি আছে, বাটখারা আছে সেই নীতিমালার আলোকে সবকিছু হবে। স্বতন্ত্র কমিটি রয়েছে; এগুলো এমন না যে শারিরীক শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক পাঠিয়ে দিলেন আর উপাচার্য ভর্তি করে ফেললেন—এমন নয়। এবং যোগ্যতার কতগুলো পূর্ব শর্ত আছে; কোন ক্যাটাগরি বা কী গুণাবলি থাকলে ভর্তি হতে পারবে। তবুও যেকোনো পর্বে কোনো অসাধুতা থাকলে, সেগুলো বাতিল হয়ে যাবে। সুতরাং এখানে বিতর্কের আর সুযোগ নেই।
অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির
খেলাধুলার মত একটি বিষয়, যা সহশিক্ষামূলক এবং বিভিন্ন কার্যক্রমকে সহায়তা করবে, শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করতে পারবে, জাতীয় আন্তর্জাতিকভাবে ভূমিকা রাখতে পারবে এমন শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দিবে বিশ্ববিদ্যালয়। ফলাফলের দিক থেকে কোনো শিক্ষার্থী পিছিয়ে আছেন কিন্তু খেলাধুলা এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভালো করছেন এমন শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে উদ্বুদ্ধ করবে বিশ্ববিদ্যালয়— জানান ভিসি।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের আসন থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি: ডিন
বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের সমন্বয়ক এবং কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির জানান, আমাদের এখানে বিশ্ববিদ্যালয় একটা গাইডলাইন করে দিয়েছে। এখানে যারা ভর্তির সুযোগ পাবে তাদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ থাকতে হবে।
এছাড়া জাতীয়ভাবে গত তিন বছর যে দলগুলো আছে তাতে তার একটা অবস্থান থাকতে হবে এবং তাতে র্যাংকিং এক থেকে পাঁচের মধ্যে থাকতে হবে। আরেকটি শর্ত হলো, খেলোয়াড়দের এসএসসি এবং এইচএসসি দুটো মিলে জিপিএ-৭.৫ এর মধ্যে থাকতে হবে; নয়তো তিনি ভর্তির যোগ্য হবে না। খেলোয়াড়দের বয়স হতে হবে ২৩ বছর।
একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড় কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হত। তবে বির্তকের জেরে ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। তারপর ২০০৮-০৯ সালের দিকে একবার চালুর কথাবার্তা চললেও তখন সেটি আর হয়ে উঠেনি।
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যে খেলাধুলাগুলো হয় যেমন আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়ান গেমস এগুলোকে মাথায় রেখে আমরা বিভিন্ন পর্যায়ের খেলোয়াড়দেরকে সুযোগ দিয়েছি।
খেলোয়াড়দের সম্পর্কে সত্যতা যাচাইয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা দুই ধরনের খবর নিয়েছি। আমরা একটি তালিকা করে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছিলাম, সেখান থেকে তারা চূড়ান্ত করে দিয়েছে। আরেকটি হলো শারিরীক শিক্ষার যিনি পরিচালক ও এই কমিটির সদস্য সচিবসহ আমরা যখন তাদের ভাইভা নিয়েছিলাম, তখন কাউকে আমাদের সন্দেহ হলে তার বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি।
ক্রিকেটার তৌহিদ হৃদয়
এখানে সাধারণ শিক্ষার্থীর সিট থেকে খেলোয়াড়দের সিট বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না। এখানে তাদের জন্য আলাদা সিটের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সুতরাং সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো প্রকার সমস্যা হবে না বলেও মত এই কর্মকর্তার।
ভর্তির সুযোগ পাওয়াদের অনুভূতি
জাতীয় পর্যায়ের বক্সার আফরা খন্দকার ঢাবিতে ভর্তির পর জানান, সবারই স্বপ্ন থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া। আমিও চেয়েছি এবং সেটা এখন পাচ্ছি খেলোয়াড় হওয়ার মাধ্যমেই পাচ্ছি। ভর্তি শর্তের ব্যাপারে তিনি জানান, সবার আগে দেখা হয়েছে গড় জিপিএ ৭.৫ আছে কিনা। এরপর দেখা হয়েছে জাতীয় দলে অংশগ্রহণ আছে কি না, জাতীয় পর্যায়ে খেলা হয়েছে দেখা হয়েছে এবং সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়েছে। ফেডারেশনের সাথে কথা বলা হয়েছে।
আর ভলিবল খেলোয়াড় তানভীর হোসেন জানান, সর্বপ্রথম আমাদের জিপিএ দেখা হয়েছে। তারপর জাতীয় দলের খেলোয়াড় কি-না; তা যাচাই করা হয়েছে, কয়টা ম্যাচ খেলেছি, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলেছি কি-না; এগুলোর প্রমাণ নিয়েছে এবং জাতীয় পর্যায়ে খেলার ছবিও নিয়েছে।
খেলোয়াড় কোটায় ঢাবিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন যারা
ক্রিকেট ক্যাটেগরিতে তাওহীদ হৃদয়, আরিফুল ইসলাম, প্রান্তিক নওরোজ নাবিল, শাহরিয়ার সাকিব, মাহফুজুল ইসলাম, সাকিব শাহরিয়ার, আশরাফুল ইসলাম সিয়াম, নাহিদা আক্তার, দীপা খাতুন, রিয়া আক্তার শিখা, মিষ্টি রানী সাহা ও হালিমাতুল সাদিয়া।
ফুটবল ক্যাটেগরিতে শেখ মোরসালিন, আনিছুর রহমান জিকু, মো. মেরাজ হোসেন, ঋতুপর্ণা চাকমা, নিলুফা ইয়াসমিন নীলা ও রেহেনা আক্তার।
নারী ফুটবল দলের ঋতুপর্ণা চাকমা
অ্যাথলেটিকস ক্যাটেগরিতে মো. খালিদ মুহিবুল্লাহ, নুসরাত জাহান রুনা ও জুয়ায়রীয়া ফেরদৌস নির্বাচিত হয়েছেন। সাঁতারে শ্রাবন্তী আক্তার। রোল বলে ইসরাত জাহান রুমা। খো খো ক্যাটেগরিতে মোছা. লামিয়া আক্তার লিমা ও মোছা. রশিদা আক্তার এবং আরচারিতে দিয়া সিদ্দিকী, হিমু বাছাড় ও প্রদীপ্ত চাকমা।
উশু ক্যাটেগরিতে মো. আব্দুল্লাহ আল সাদিক, ব্যাডমিন্টনে খন্দকার আব্দুস সোয়াদ, ফারজানা সুলতানা ঐশী ও গৌরব সিংহ, বক্সিংয়ে আফরা খন্দকার, বাস্কেটবলে অনিরুদ্ধ তালুকদার বরণ। ভলিবলে মো. রিফাত হোসেন, মো. আলী আল মুরাম্মার রাকেশ সৈকত, মোসা. টুম্পা আক্তার ও তানভীর হাসান তন্ময় এবং শুটিংয়ে মনিকা আহমেদ ইমা, কারাতে জান্নাতুল ফেরদৌস সুমী, হ্যান্ডবলে নুসরাত জাহান নূপুর, জুডোতে সামসুদ্দোহা সৌরভ এবং তায়কোয়ান্দোতে ফয়সাল আহমেদ।
এছাড়া হকিতে আলামিন মিয়া, আমিরুল ইসলাম, আবেদ উদ্দীন, এমএম মেহরাব হাসান সামিন ও মো. রাকিবুল হাসান নির্বাচিত হয়েছেনক