ঢাবিতে সুকুমার রায়ের শততম মৃত্যুবার্ষিকীতে চিত্র প্রদর্শনী

কবি সুকুমার রায়ের শততম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে চিত্র প্রদর্শনী
কবি সুকুমার রায়ের শততম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে চিত্র প্রদর্শনী  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কবি সুকুমার রায়ের শততম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে পাঁচ দিনব্যাপী চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন ভারতীয় শিল্পী অনিন্দ্য কান্তি বিশ্বাস। 

আজ সোমবার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের জয়নুল আর্ট গ্যালারিতে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।

প্রদর্শনীর আয়োজক শিল্পী অনিন্দ্য কান্তি বিশ্বাস একাধারে একজন শিল্প ঐতিহাসিক এবং শিল্প সমালোচক। তিনি তাঁর শিক্ষা জীবনে বাংলা বিভাগে অনার্স শেষে হিস্ট্রি অব আর্ট বিভাগ থেকে মাস্টার্স করেছেন এবং বিভিন্ন শিল্প ও শিল্পীদের নিয়ে বহুবছর যাবৎ গবেষণা করছেন।

প্রদর্শনীতে সুকুমার রায়ের সৃষ্ট ছড়া ও  চরিত্রগুলোকে ভিন্নরূপে  তুলে ধরা হয়।  চিত্র  ডানপিটে, চলচিত্ব-চঞ্চরি, পালোয়ান, কি মুশকিল, সৎপাত্র, ভয় পেয়ো না, আবোল তাবোল সহ প্রমুখ চিত্র এবং বিভিন্ন আকার বা আকৃতি নিয়ে ভাবতে শেখায় এমন চিত্র যেমন- 'বকচ্ছপ', 'হাসজারু', 'হাতিমি', 'টিয়ামুখো গিরগিটি', 'কাঠ-বুড়ো', 'ট্যাশারু', 'হুলোর গান', 'রামগরুড়ের ছানা', 'হেশোরাম হুঁশিয়ারের ডায়েরি', 'হ্যাংলাথেরিয়াম', 'ল্যাগব্যাগনিস', 'গোমরাথেরিয়াম', 'বেচারাথেরিয়াম', 'চিল্লানোসোরাস', 'ল্যাংড়াথেরিয়াম' ইত্যাদি সৃষ্টি নিয়ে এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।যেখানে ৩৬টি চিত্রকর্ম দেখা যায়। 

দর্শনার্থীরা চিত্রকর্ম দেখার পর নিজেদের মতামত একটি খাতায় লেখেন।পাশাপাশি প্রদর্শনীর আয়োজক শিল্পী অনিন্দ্য কান্তি বিশ্বাস তাদের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অবগত করেন।

প্রদর্শনীর আয়োজক শিল্পী অনিন্দ্য কান্তি বিশ্বাসকে এই আয়োজনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি  বলেন, সুকুমার রায় শুধু ইলাস্ট্রেশন করতেন না,কথাও যে ছবি হতে পারে তাই তার কাছ থেকে শেখা যায়। এই জেনারেশন সুকুমার রায়কে চেনেই না। আমি চেষ্টা করেছি এই ক্ষেত্রে একটা পদক্ষেপ নেওয়ার। কারণ এই একবিংশ শতকে আমাদের সুকুমার রায়কে খুবই প্রয়োজন, বিশেষ করে আমাদের সুস্থ থাকার জন্য। ভীষণভাবে আশ্চর্যান্বিত হই যখন দেখি ক্রমশ আমরা দিনের পর দিন ধরে হাসতে ভুলে যাচ্ছি, রসিকতা তো প্রায় উধাও। কার্টুনের বা ব্যাঙ্গাত্মক ছবির দেখা মেলা দুষ্কর। ভবিষ্যতেও দিতে চাই। সুকুমার রায়ের আঁকা চিত্রগুলোকে একটু নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমি ভালো সাড়া পেয়েছি এখানে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এত ভীড় হয়েছে দেখে অবাক হলাম। এখানে চারু কলা অনুষদের অনেক শিক্ষক শিক্ষার্থী এবং আরো অনেককেই পেয়েছি। আমি আনন্দিত।

তিনি আরও জানান,  আমার আরো দুটো চিত্র এখনো রেডি করার চেষ্টা করছি ভবিষ্যতে অন্য কোথাও এমন প্রদর্শনীর সুযোগ পেলে আমি অবশ্যই করব। আগামী ১২ তারিখ একটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সেমিনার আয়োজনের কথাও তিনি জানান।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence