হলে আসেন না নিয়মিত, প্রভোস্টের মৃত্যুসংবাদ ঝুলিয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা

প্রাধ্যক্ষ মকবুল হোসেন ভুঁইয়া মারা গেছেন—এমন একটি পোস্টার
প্রাধ্যক্ষ মকবুল হোসেন ভুঁইয়া মারা গেছেন—এমন একটি পোস্টার  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্য সেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভুঁইয়া নিয়মিত হলেই আসেন না। হলের ছাত্রদের নানাবিধ সমস্যায় পাওয়া যায় না তাকে। এতে ক্ষুব্ধ ছাত্ররা হলের দেয়ালে দেয়ালে প্রাধ্যক্ষের মৃত্যুসংবাদ টাঙিয়ে দিয়েছে।

প্রাধ্যক্ষ মকবুল হোসেন ভুঁইয়া মারা গেছেন—এমন একটি পোস্টার হলের বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভাইরাল হয়েছে।

গতকাল সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় হলের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্থানে এ পোস্টার লাগানোর বিষয়টি। পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হলের প্রভোস্ট জনাব মকবুল হোসেন ভুঁইয়া ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহ ... রাজিউন)। তার অকালপ্রয়াণে মাস্টারদা সূর্য সেন হল পরিবার অত্যন্ত শোকাহত। তিনি ১ ছেলে, ১ মেয়ে, স্ত্রী এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শোকান্তে : মাস্টারদা সূর্য সেন হল পরিবার।’

আরও পড়ুন: সাত কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শেষ ২৫ অক্টোবর

হলের শিক্ষার্থীরা জানান, হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভুঁইয়া হলেই আসেন না, ছাত্রদের সমস্যা সমাধানে কোন উদ্যোগ নেন না। বেশিরভাগ সময় অফিসে না থাকায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এ পোস্টার লাগিয়েছেন। তবে কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছেন, তা জানা সম্ভব হয়নি।

এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে শিক্ষার্থীরা হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভুঁইয়ার ‘নিখোঁজ’ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। ওই সময় একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্য সেন হল সংলগ্ন দেয়াল, মধুর ক্যান্টিন, টিএসসি চত্বরসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় এ বিজ্ঞপ্তি লাগানো হয়।

এ বিষয়ে জানতে মাস্টারদা সূর্য সেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভুঁইয়া বলেন, যারা এ কাজ করেছে, তাদের পেলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রভোস্ট সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন । তিনি অভিযোগকারী শিক্ষার্থীদের নাম জানতে চান। কিন্তু প্রতিবেদক অভিযোগকারীদের নাম না বলতে চাইলে তিনি বলেন, তাহলে আপনি আন্দাজে বলছেন কেন?

আন্দাজে নয়, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে জানতে চাওয়া হচ্ছে এর উত্তরে প্রভোস্ট বলেন, "ওই শিক্ষার্থীর পরিচয় দিন। তাহলে আমি তাদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব।"

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।


সর্বশেষ সংবাদ