সব বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার আহবান ইউজিসির
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২২, ০৪:৪৪ PM , আপডেট: ১৯ জুন ২০২২, ০৪:৪৬ PM
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি। একইসঙ্গে তথ্য প্রদান ব্যবস্থাপনা জোরদার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে এসব প্রতিষ্ঠানে তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
ইউজিসি আয়োজিত তথ্য অধিকার বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আজ রবিবার (১৯ জুন) প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম এ আহবান জানান।
জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. একেএম শামসুল আরেফিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
অধ্যাপক দিল আফরোজা বলেন, দেশের মালিক জনগণ। রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিষয়ে জনগণের তথ্য জানার অধিকার রয়েছে। এটি তার সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার। জনগণকে সংবিধান ও বিদ্যমান আইনের আওতায় চাহিত তথ্য প্রদান করতে হবে।
অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা হলে রাষ্ট্রের সকল স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরও বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ না থাকলে সমাজে গুজব জন্ম নেয়। তথ্য অধিকার আইন কার্যকর বাস্তবায়নে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি হ্রাস ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা পাবে বলে তিনি দৃঢ় মত পোষণ করেন।
ড. ফেরদৌস জামান বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানে কি কি কাজ হয়, কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা বা সেবা দিচ্ছে এসব বিষয়ে জানতে তথ্য অধিকার আইন নাগরিককে সহায়তা করছে। দিনকে দিন এই আইনের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জনগণ এর সুফল পাওয়া শুরু করেছে।
ড. একেএম শামসুল আরেফিন বলেন, একটা সময়ে দাপ্তরিক গোপনীয়তার অজুহাতে সরকারি দপ্তরে নাগরিককে চাহিত তথ্য প্রদান করা হতো না। কিন্তু, তথ্য অধিকার আইন নাগরিকের তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নিশ্চিত ও শক্তিশালী করেছে।
ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণে সেশন পরিচালনা করেন গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম যোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক ও তথ্য অধিকার বিশেষজ্ঞ ড. মো. অলিউর রহমান। প্রশিক্ষণে কমিশনের ৩২ জন উপপরিচালক ও সমমান পদের কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।