করোনা প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ নিয়ে যা ভাবছে ইউজিসি

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)  © সংগৃহীত

দেশে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাস। এ ভাইরাস যেন পুনরায় মহামারির রূপ না নেয়, সেজন্য একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে এসব বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এখনই কিছু ভাবছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, মাস্ক ব্যবহার করা, হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা, ব্যবহৃত টিস্যু যথাযথভাবে ফেলা, নিয়মিত সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া এবং অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ না করা।

এছাড়া অন্তত ৩ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বাড়িতে অবস্থান করা, মাস্ক পরা এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা সহায়তা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা না আসায় ইউজিসিও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ইউজিসির সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো আমরা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা পেলে আমরা সেটি অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেব এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে। তবে এখনো ইউজিসিতে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।’

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘করোনা বাড়ছে। তবে এখনো আমরা এ বিষয়ে কিছু ভাবিনি। অবশ্যই কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন। বিষয়টি এখনো পর্যবেক্ষণে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হবে। অনলাইন ক্লাস বা অন্যান্য বিষয়ে এখনই কিছু ভাবা হচ্ছে না। মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবান ব্যবহার এবং নিরাপত্তা বজায় রাখাসহ যেসব উপসর্গ দেখা দিলে সেবা নেওয়া দরকার, সে বিষয়েও সচেতনতামূলক বার্তা দেওয়া হবে। তবে এখনই কোনো নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে না। পরিস্থিতি গুরুতর হলে তখনই এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, ‘আজ আমাদের কর্মচারীদের সঙ্গে মিটিং হয়েছে। সবাইকে মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্য সচেতন থাকার কথা বলেছি। পাশাপাশি স্যানিটাইজার ব্যবহারের কথাও বলেছি। এই বার্তাটি সবাইকে ছড়িয়ে দিতে হবে। বর্তমানে হ্যান্ডশেক ও কোলাকুলির সংস্কৃতি বাদ দেওয়া উচিত। আমি আগেও হ্যান্ডশেক করতাম না, গত করোনা পরিস্থিতির পর একেবারেই করি না। তারপরও কিছু মানুষ এমনভাবে এগিয়ে আসে, না করেও পারা যায় না। তবে আমার মতে, এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। হাত তুলে সালামের মাধ্যমেই যোগাযোগ করা ভালো।’

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা নজরদারি সংস্থা। কিন্তু আমি বলি, ইউজিসি হলো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সহযোগী সংস্থা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজস্ব আইন অনুসারে চলে। তাই অনধিকার চর্চা আমরা করব না।’


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!