করোনা কি আবারও ফিরছে?
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ০৮:৫৫ PM , আপডেট: ২১ মে ২০২৫, ০৭:২১ AM
সম্প্রতি এশিয়ায় কোভিড-১৯ সংক্রমণে পুনরায় বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে হংকং, সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যান্ডে। দীর্ঘদিনের মহামারির পর যখন বিশ্ব প্রায় থমকে ছিল, তখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো — করোনা কি আবার ফিরে এসেছে?
হংকং ও সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ দেশটির জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তবে তারা বলছে, করোনার এই ঢেউ প্রত্যাশিত ছিল। ভারতের পরিস্থিতি সাম্প্রতিক সংক্রমণ বৃদ্ধিতে বেশিরভাগই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছে।
ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১২ মে থেকে ভারতে ১৬৪টি নতুন করোনা সংক্রমণ দেখা গেছে। মঙ্গলবার দেশে মোট সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫৭। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে কেরালায় (৬৯টি), তারপরে মহারাষ্ট্রে (৪৪টি) এবং তামিলনাড়ুতে (৩৪টি)।
সোমবার ভারতে একটি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল, ইমার্জেন্সি মেডিকেল রিলিফ ডিভিশন, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সেল, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এবং কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন। সভার সভাপতিত্ব করেন ডিরেক্টর জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস।
এক সরকারি সূত্র ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‘ভারতের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ১৯ মে পর্যন্ত দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা মাত্র ২৫৭, যা দেশের জনসংখ্যার জন্য খুবই কম। প্রায় সব রোগীর অবস্থা হালকা এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয়নি।’
মুম্বাইয়ের কেম হাসপাতাল থেকে জানা গেছে, দুই করোনা পজিটিভ রোগীর মৃত্যু হয়েছে, যাদের দুজনেরই গুরুতর পূর্ববর্তী অসুস্থতা ছিল। সূত্র মতে, একজনের ছিল ওরাল ক্যান্সার, আরেকজনের কিডনি সংক্রান্ত রোগ (নেফ্রোটিক সিন্ড্রোম)। তাঁদের মৃত্যুর কারণ ছিল পূর্ববর্তী রোগসমূহ, করোনা নয়।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে সংক্রমণ বাড়লেও করোনা এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হংকং ও সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ সতর্ক থাকতে বলছে, তবে বলা হচ্ছে এই ঢেউগুলো প্রত্যাশিত। সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংক্রামক রোগ সংস্থাটি জানিয়েছে, ২৭ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১৪,২০০, যা গত সপ্তাহের ১১,১০০ থেকে বেড়েছে।
হংকংয়ের সেন্টার ফর হেলথ প্রোটেকশনের কন্ট্রোলার এডউইন চুই একটি প্রেস রিলিজে বলেছেন, ‘স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার পর থেকে হংকংয়ে প্রতি ছয় থেকে নয় মাস অন্তর করোনা সক্রিয় সময় দেখা যাচ্ছে। আমরা আশা করছি আগামী কয়েক সপ্তাহ করোনার সক্রিয়তা বেশি থাকবে।’
গত সপ্তাহে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ওং ইয়েং কুং ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বছরের যেকোনো সময়ে করোনার পর্যায়ক্রমিক ঢেউ প্রত্যাশিত।’
দক্ষিণ কোরিয়ার ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এজেন্সি গত মাসে ঋতুবন্ধী করোনা টিকা প্রয়োগের সময়সীমা আরও দুই মাস বাড়িয়ে জুন মাসের শেষ পর্যন্ত করেছে। ৬৫ বছর ও তদূর্ধ্ব ব্যক্তিদের জন্য ফাইজার ও বায়োএনটেকের JN.1 টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
তথ্যসূত্র: দ্য হিন্দুস্তান টাইমস