ইউজিসির সচিবকে অপসারণের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ০৭:১৯ PM , আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩১ PM

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ড. ফখরুল ইসলামকে তার পদ থেকে অপসারণের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার পক্ষে মাহমুদুল হাসান রানা সহ পাঁচ ব্যক্তি। রবিবার (৯ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টা বরাবর এ স্মারকলিপি দেন তারা।
লিখিত অভিযোগ বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের দুর্নীতিবাজ সচিব ড. ফখরুল ইসলাম আওযামী সুবিধাভোগী ও ইউজিসি'র সাবেক চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দাযিত্ব) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর কর্তৃক নিযোগকৃত সচিব। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ড. ফখরুল ইসলামকে তার পদ থেকে অপসারণের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী হিসেবে তার ক্যারিয়ারের বহু পদোন্নতি লাভ করেছেন এবং এখন ইউজিসি সচিব হিসেবে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ন্যূনতম কোন সমর্থন তো ছিলই না, বরং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের 'রাজাকার' উল্লেখ করে 'বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ঠাঁই নাই' মন্তব্য করেছিলেন ড. ফখরুল ইসলাম। এছাড়াও বাধ্যতামূলক না হলেও ধানমন্ডী ৩২-এ শেখ মুজিবের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়ে আওয়ামীপন্থী হিসেবে নিজেকে জাহির করতেন তিনি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে আওয়ামী কমিশনের মাধ্যমে বিধি ভেঙে বড় দুটি পদোন্নতি, সুযোগ-সুবিধা সবকিছুই পেয়েছেন ফখরুল।
অভিযোগপত্রে তারা বলেন, সচিব পদে বসে আওয়ামী সরকারের আমলে বঞ্চিত ও জুলাই আন্দোলনের পক্ষের কর্মকর্তাদের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছেন। ফ্যাসিবাদের আমলে যাদের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হতো, এখন ফখরুল ইসলাম সচিব হওয়ার পর সেই আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তারাই পাচ্ছেন ভালো পদে/বিভাগে পদায়ন। কমিশনে এক পদ থেকে অন্য পদে পদোন্নতির যোগ্য হতে কমপক্ষে আগের পদে চার বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। তবে অনেক কর্মকর্তাই সাত-আট বছর হওয়ার পরও পদোন্নতি পান না। কিন্তু ফখরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের অন্যতম সুবিধাভোগী হওয়ায় তাকে অতিরিক্ত পরিচালক ও পরিচালক হতে একবারও চার বছর পূর্ণ করতে হয়নি। তিনি এক্ষেত্রে পিএইচডি ডিগ্রি দেখিয়ে দুইবার সুবিধা নিয়েছেন আওযামী লীগের ক্ষমতাধর কর্মকর্তা হিসেবে। যা সুস্পষ্টভাবে বিধি লংঘন।
পরিচালকদের জন্য বাধ্যতামূলক না থাকলেও তিনি একাধিকবার ধানমন্ডী ৩২ নম্বরে ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে দলবল সহকারে যেতেন। অথচ অনেক পরিচালকই ওইসময় এসব কর্মসূচি কৌশলে এড়িয়ে গেছেন। এর মাধ্যমে তিনি নিজেকে আওয়ামীলীগপন্থী বলে ইউজিসিতে জাহির করতেন। শুধু তাই নয়, ড. ফখরুল ইসলাম শেখ হাসিনার গুণকীর্তন করে একাধিক নিবন্ধও লিখেছেন। ২০২৪ সালের ৮ জুলাই শেখ হাসিনার চীন সফরে যাওয়ার পর তিনি ৬টি পত্রিকায় নিবন্ধ লেখেন বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগপত্রে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ড. ফখরুল ইসলামকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সচিব পদ থেকে অপসারণ করার অনুরোধ জানান তারা।