পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
ভিসি, প্রো-ভিসি নিয়োগের ক্ষমতা ‘কমিশন’-এর হাতে চায় ইউজিসি
- শিহাব উদ্দিন
- প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:৩২ PM , আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:২৩ PM
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারার ও শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম রোধে নিয়োগের ক্ষমতা স্বতন্ত্র কমিশনের হাতে দেওয়ার সুপারিশ করতে যাচ্ছে তদারক সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। ইউজিসির ৪৯তম বার্ষিক প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করতে যাচ্ছে সংস্থাটি। চলতি মাসের শেষে অথবা নির্বাচনের পর প্রতিবেদনটি রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
ইউজিসি বলছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সব ধরনের নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। দিন দিন এই অভিযোগের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিয়ম ভঙ্গ করে অযোগ্যদের নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ পুরোনো। নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি, মেধাবীদের মূল্যায়ন না করার অভিযোগও রয়েছে।
তারা জানান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের নানা অনিয়মের তদন্তে অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। ফলে একই ধরনের অনিয়ম বার বার ঘটছে। এটি বন্ধ করতে নিয়োগ সুপারিশের ক্ষমতা স্বতন্ত্র কমিশনের হাতে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্লেজিয়ারিজম বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগের কথা জানানো হয়েছে এবারের সুপারিশে। দেশে প্রচলিত ব্যবস্থায় একদিকে কম গবেষণা এবং তার বিপরীতে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির মতো ঘটনা বন্ধ করতে চায় কমিশন। সেজন্য এবারের সুপারিশে বিষয়টি নিয়ে প্রস্তাবনা জানিয়েছে ইউসিজি।
এ বিষয়ে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রতি বছরই কিছু সুপারিশ করা হয়। এবারও করা হয়েছে। যে সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হয়নি সেগুলো পুনরায় সুপারিশ করা হয়। ৪৯তম বার্ষিক প্রতিবেদনের জন্য আমরা সুপারিশমালা প্রস্তুত করেছি। এটি ছাপার পর রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। এরপর সেটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে।’
ইউজিসির সুপারিশ মালায় বলা হয়েছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারার নিয়োগের নীতিমালা তৈরি করতে হবে। এজন্য একটি স্বতন্ত্র কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। এই কমিশন উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রার থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার অনুমতি পাওয়ার পরই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো তৈরি করতে হবে, শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিতে হবে। এছাড়া পর্যাপ্ত ক্লাসরুম, ল্যাবরেটরি, গবেষণাগার তৈরির পর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করার সুপারিশ করেছে ইউজিসি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ র্যাংকিং তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য একটি নীতিমালা তৈরির সুপারিশ করা হয়েছে। দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৭০টির মতো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এগুলোর র্যাংকিং হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে ইউজিসি।
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য ইউনিভার্সিটি টিচার্স ট্রেনিং একাডেমি (ইউটিটিএ) দ্রুত চালু করতে হবে। এটি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আরও বেশি গবেষণামুখী হতে হবে। ৪৯তম বার্ষিক প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার অনুমতি পাওয়ার পরই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো তৈরি করতে হবে, শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিতে হবে। এছাড়া পর্যাপ্ত ক্লাসরুম, ল্যাবরেটরি, গবেষণাগার তৈরির পর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করার সুপারিশ করেছে ইউজিসি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্লেজিয়ারিজম বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগের কথা জানানো হয়েছে এবারের সুপারিশে। দেশে প্রচলিত ব্যবস্থায় একদিকে কম গবেষণা এবং তার বিপরীতে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির মতো ঘটনা বন্ধ করতে চায় কমিশন। সেজন্য এবারের সুপারিশে বিষয়টি নিয়ে প্রস্তাবনা জানিয়েছে ইউসিজি।