ডিম সেদ্ধ না পোচ, কোনটিতে বেশী উপকার

সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার হলো ডিম।
সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার হলো ডিম।   © সংগৃহীত

ডিম কমবেশি সবারই পছন্দের তালিকায় রয়েছে। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার হলো ডিম। কেউ সেদ্ধ খান, কারও পোচ পছন্দ, কেউ বা ডিমের অমলেট পছন্দ করেন। তবে একেকজনের ডিম খাওয়ার পদ্ধতি একেক রকম। অনেকে কাঁচা ডিমও খেয়ে থাকেন। ডিম খেলে বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায়। যেমন-ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে, প্রোটিন এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতি মেটে। 

ডিম হচ্ছে প্রোটিনের সেরা উৎস। এতে রয়েছে ভিটামিন বি ১২, বায়োটিন, থায়ামিন এবং সেলেনিয়াম। পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমে নয়টি অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড মজুত থাকে, যা নানাভাবে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে। তবে কোন পদ্ধতিতে ডিম খাওয়া উপকারী আর কোনটিতে ক্ষতিকর এ বিষয়ে আজকে আমরা জানব

যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তারা মনে করেন ডিম ভাজার বদলে সিদ্ধই সেরা। পুষ্টিবিদরা অবশ্য সকালের নাশতায় একটা করে ডিম সিদ্ধ খাওয়ার কথা বলেন। চিকিৎসকেদের মতে, অমলেট বা পোচের তুলনায় সিদ্ধ ডিমই বেশি উপকারী। কিন্তু পুষ্টিগুণের দিক থেকে কোন ধরনের ডিম এগিয়ে তা জানানো হয়েছে ভারতীয় গণসাধ্যম 'এই সময়ে'র এক প্রতিবেদনে।

পুষ্টিবিদদের মতে, একটা সিদ্ধ ডিমে ৭৮ ক্যালরি, ৬.৩ গ্রাম প্রোটিন, ০.৬ গ্রাম কার্বহাইড্রেট ও ৫.৩ গ্রাম ফ্যাট, যার মধ্যে ১.৬ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। সিদ্ধ ডিমে প্রাকৃতিকভাবেই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন মজুত থাকে। সকালের নাশতায় একটা সিদ্ধ ডিম খেলে ৬ গ্রামের বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়। অন্যদিকে, অমলেটে রয়েছে ৯০ ক্যালরি, ৬.৮ গ্রাম ফ্যাট। এর পাশাপাশি রয়েছে ২ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট।

একটা সিদ্ধ ডিমের ১৫ শতাংশ রাইবোফ্লোভিন, ১০ শতাংশ ভিটামিন বি ১২ ও ১১ শতাংশ ভিটামিনে ভরপুর। ভাজা ডিমেও ভিটামিনের পরিমাণ প্রায় একই। সিদ্ধ ডিমের চেয়ে অমলেটে খনিজের পরিমাণ বেশি। সিদ্ধ ডিমে ৯ শতাংশ ফসফরাস রয়েছে, অন্যদিকে অমলেটে ফসফরাসের পরিমাণ ১০ শতাংশ। হাড় শক্ত করতে ফসফরাস অত্যন্ত জরুরি। অন্যদিকে, কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে সিদ্ধ ডিম। ডিম তেলে ভাজলে, এই উপকারিতা একেবারেই চলে যায়।
 
হাফ বয়েল, না ফুল বয়েল ডিম?​
অনেকের মনে করে থাকেন হাফ বয়েল ডিমেই পুষ্টি। এটি একদমই ঠিক নয়। অর্ধসেদ্ধ ডিমে সালমোনেল্লা নামক একটি ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়া কিন্তু বমি, ডায়েরিয়ার মতো একাধিক সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই হাফ বয়েল ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো। ফুল বয়েল ডিম খাওয়াই স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।

আরও পড়ুন: ভোজনবিলসীদের কাছে অমৃত কাঁচা আমের ‘টক ডাল’, যেভাবে বানাবেন

কাঁচা ডিমে শক্তি বেশি? 
অনেকে আবার কাঁচা ডিম খান। তাদের ধারণা ডিম কাঁচা খেলে বেশি শক্তি! তবে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কাঁচা ডিমে থাকে এভিডিন নামক একটি প্রোটিন। এই প্রোটিন দেহে বায়োটিনকে কাজ করতে বাধা দেয়। এতে চুল ও ত্বকের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। তাই যতটা সম্ভব কাঁচা ডিম এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
 
ভাজা ডিম খেলে কী হয়?
ডিম ভাজা ও পোচ করেও খেতে পারেন। এক্ষেত্রে কম তেলে ডিম ভেজে নিতে হবে। এমনকি এই উপায়ে পোচ বানাতে পারেন। 

ডিমের কুসুম খাওয়া নিয়ে সমস্যা?
অনেকেই ডিমের কুসুমের ফ্যাট নিয়ে বেশি চিন্তিত থাকেন। এতে কোনো সমস্যা নয় বরং শরীরে ফ্যাটের চাহিদা পূর্ণ হয়। তবে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা খুব বেশি থাকলে ডিমের কুসুম না খাওয়াটাই উত্তম। এ সমস্যা না থাকলে যে কেউ ডিমের এই অংশ নির্দ্বিধায় খেতে পারেন।

সূত্র: এই সময় 


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence