চুল পড়া নিয়ে চিন্তিত? জেনে নিন ৭ করণীয়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২২, ১০:৩৪ AM , আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২২, ১০:৪৩ AM
শক্ত, মজবুত ও ঝলমলে চুল কে-না চায়। তবে পরিবেশ দূষণ ও ধুলাবালিসহ বিভিন্ন কারণে চুলের কাঙ্ক্ষিত মান ধরে রাখা চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে। তাছাড়া অনেক সময় জিনগত কারণেও চুল পড়ছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে চুলের উপর আমাদের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। নিয়মিত চুলের যত্ন নিলে অবশ্যই চুল মজবুত ও ঝলমলে রাখা সম্ভব। তাই এ পর্যায়ে চুলের যত্নে ৭টি করণীয় সম্পর্কে জানবো-
শ্যাম্পু ব্যবহারে সতর্কতা
সবার চুলে সব শ্যাম্পু সহনীয় হয়না। ফলে যেটা মাথার ত্বকের সাথে মানিয়ে নিচ্ছে, সেটা ব্যবহার করা উচিত।
তাছাড়া চুল পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে লক্ষণীয় যে, শ্যাম্পুতে সালফেট, প্যারাবেন এবং সিলিকনের মতো পদার্থগুলো বেশি উপস্থিত না থাকাই ভালো। কারণ এগুলো চুলকে ভেঙে ফেলে। তাছাড়া চুলের গোড়া শক্ত করতে কন্ডিশনার ব্যবহার করা যেতে পারে। কেননা এতে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা ক্ষতিগ্রস্ত চুলকে মেরামত করার পাশাপাশি মসৃণ রাখতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন: অল্পতেই রেগে যাচ্ছেন? জানুন সমাধান
মাথার ত্বক ম্যাসেজ করা
চুলের গোড়া মজবুত করতে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আঙ্গুল দিয়ে নিয়মিত মাথার ত্বক ম্যাসজ করলে চুলের গোড়া শক্ত হয়। এটা শ্যাম্পু লাগানোর ঠিক আগে অথবা চুল ভেজা অবস্থায় করা যেতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ার ফলে চুল মজবুত হয়েছে। তাছাড়া প্রতিদিন অন্তত চার মিনিটের স্কাল্প ম্যাসাজ সময়ের সাথে সাথে চুলের ঘনত্ব এবং শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
খাবারে প্রোটিন বৃদ্ধি
পর্যাপ্ত প্রোটিনের অভাবে চুল পড়ে যায়। কেননা চুলের ফলিকলে বেশিরভাগ প্রোটিন থাকে। যা চুলকে মজবুত ও ঘন করতে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত দুধ, ডিম, মাছ, পালং শাক ও মটরশুটির মতো প্রোটিন খেলে চুল মজবুত ও ঘন করতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন: ঠান্ডা না গরম কোন দুধ উপকারি?
চুলের বৃদ্ধিতে ডিমের কুসুম
ডিমের কুসুমে একই প্রোটিন থাকে, যা চুলে শক্তিশালী ফলিকল তৈরি করে। কেননা ডিমের কুসুমে ভিটামিন এ এবং ডি, বায়োটিন এবং ফোলেট সহ চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক এমন বেশ কিছু প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। গবেষণা অনুসারে, ডিমের কুসুমে থাকা পেপটাইডগুলি চুলের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করতে পারে। সেজন্য ডিমের কুসুমের সাথে হালকা গরম তেল একসাথে মিশিয়ে চুল ও মাথার ত্বকে ব্যবহার করা যেতে পারে। তারপর আধ ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
গরম তেল ব্যবহার
শুষ্ক, ঝরঝরে বা ক্ষতিগ্রস্থ চুলে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে হট অয়েল ট্রিটমেন্ট একটি জনপ্রিয় উপায়।
এটা নারকেল কিংবা আভাকাডো তেল হতে পারে। গবেষণা অনুসারে, নারকেল তেল ক্ষতিগ্রস্থ এবং অক্ষতিগ্রস্থ উভয় চুলেই প্রোটিনের ক্ষয়রোধ করতে সহায়তা করে। এছাড়া অ্যাভোকাডো তেলেও প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিডের পাশাপাশি ভিটামিন এ, বি-৫ ও ই রয়েছে। যা চুলকে ঘন ও মজবুত করতে সহায়তা করে।
রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার কমানো
সবাই চুলকে ঘন ও ঝলমলে রাখতে চায়। ফলে অনেক সময় চুলে বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে থাকেন। বিশেষ করে ব্লো ড্রায়ার, স্ট্রেটেনিং আয়রন, হট কার্লার সহ অন্যন্য উত্তপ্ত স্টাইলিং দ্রব্য।
যা চুলকে ভঙ্গুর ও গোড়া দুর্বল করে। তাই বিশেষজ্ঞরা চুলে অধিক পরিমাণ রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
দেহে পুষ্টির মাত্রা ঠিক রাখা
চুল শক্তিশালী ও ঝলমলে করতে দেহে পর্যাপ্ত খনিজ ও ভিটামিন থাকা প্রয়োজন। গবেষণায় দেখা গেছে, চুল পড়ার সাথে পুষ্টির ঘাটতির সম্পর্ক রয়েছে। সেজন্য দেহে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের ভারসাম্য ঠিক থাকা প্রয়োজন।