বাজারের ৬০ শতাংশ ফোন অবৈধ, আপনারটি কি বৈধ?
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৩ PM , আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৪ PM
দেশের মোবাইল ফোন বাজারের প্রায় ৬০ শতাংশই অবৈধ পথে আমদানি হচ্ছে, যার ফলে সরকার প্রতিবছর প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে—এমন তথ্য দিয়েছে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওনার্স অব বাংলাদেশ (এমআইওবি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি জানায়, অবৈধ ফোন ব্যবসায় যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দেশীয় উৎপাদকরা, তেমনি বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে রাষ্ট্র। এ পরিস্থিতি নিরসনে আগামী ১৬ ডিসেম্বর চালু হতে যাওয়া ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের আহ্বান জানায় এমআইওবি।
আরও পড়ুন: এই সরকারের আমলে নতুন পে স্কেল কার্যকর নিয়ে ‘শঙ্কা’
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ঘোষণা করেছে, আগামী ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে নিবন্ধনবিহীন বা আন-অফিশিয়াল মোবাইল ফোন ব্যবহার করা গেলে সেই ডিভাইসগুলোর নেটওয়ার্ক সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে কমিশন জানিয়েছে, বর্তমানে মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহার হওয়া সব হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে এবং আগামী ১৬ ডিসেম্বর পূর্বে ব্যবহৃত ফোন আলাদাভাবে নিবন্ধন করার কোনো প্রয়োজন নেই।
বিটিআরসি-র নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবহারকারীরা বাড়ি বসেই সহজে জানতে পারবেন তাদের ফোন বৈধ কি না। যাচাইয়ের পদ্ধতি খুবই সহজ। ধাপগুলো হলো-
*মোবাইল ফোন থেকে *16161# নম্বরে ডায়াল করুন।
*আভ্যন্তরীণ বক্স খুললেই হ্যান্ডসেটের ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বর লিখে পাঠান।
*কয়েক মুহূর্তের মধ্যে ফিরতি মেসেজে আপনার ডিভাইসের হালনাগাদ নিবন্ধন পরিস্থিতি জানানো হবে।
অতিরিক্তভাবে বরাদ্দকৃত সেবা নেওয়া যাবে বিটিআরসি’র সিটিজেন পোর্টাল neir.btrc.gov.bd অথবা আপনার মোবাইল অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টার।
বিটিআরসি ব্যবহারকারীদের সতর্ক করেছে, ফোন কেনার সময় বিক্রেতার কাগজপত্র, IMEI নম্বর মিলছে কিনা, এবং ফোনটি আসল কিনা নিশ্চিত করা অপরিহার্য— নকল বা ক্লোন ডিভাইসের কারণে ভবিষ্যতে নেটওয়ার্ক সংযোগ বন্ধসহ সরকারি ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হতে পারেন ব্যবহারকারীরা।