পুষ্টিগুণে ভরপুর শীতের সবজি

শীতের সবজি
শীতের সবজি  © সংগৃহীত

বাজারে এখন শীতের সবজি। এসবে আছে প্রচুর প্রাণশক্তি। পাশাপাশি স্বাস্থ্যরক্ষায় এগুলো বেশ কাজেও লাগে। শীতের সবজিতে আমরা মিনারেলস এবং ভিটামিনগুলো পেয়ে থাকি। তাই এই সব চাহিদাগুলো পূরণের জন্য এবং শরীরকে ফিট রাখার জন্য আমাদের শীতকালীন সবজিগুলো নিয়মিত গ্রহণ করা দরকার। শীতের সবজির মধ্যে অন্যতম হলো ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, পালং শাক, ব্রকলি ইত্যাদি।

শীতকালে পাওয়া যায় এমন সবজির মধ্যে কিছু আছে ক্যান্সার প্রতিরোধক, আবার কিছু আছে উচ্চরক্তচাপ কমিয়ে জটিল রোগ থেকে মুক্ত রাখে। তাই সুস্থ ও সবল থাকার জন্য এসব শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত।  

জেনে নিন শীতের সবজির পুষ্টিগুণ.

মটরশুঁটি: এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। আঁশযুক্ত হওয়ায় দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহযোগিতা করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি রক্তনালিতে ব্লক হওয়া প্রতিরোধ করে। হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে। ক্যান্সার রোগের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে। এতে থাকা ফলিক এসিড গর্ভবতীদের জন্য বেশ উপকারী। প্রচুর আঁশ আছে। যারা নিরামিষভোজী, তাঁদের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করবে এগুলো।

লেটুস: আয়রন আছে বলে রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ভিটামিন বি এবং ই আছে। ত্বকের জন্য এটি ভালো।

লাউ: লাউ সহজপাচ্য। এতে ক্যালরি কম; তাই বেশি খেলেও সমস্যা নেই। স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য উপকারী। এতে প্রচুর জলীয় অংশ আছে বলে পানিশূন্যতা দূর করে।

গাজর: গাজর পুষ্টিকর এবং আঁশ সমৃদ্ধ শীতকালীন সবজি যা এখন প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। এতে আছে বিটা ক্যারোটিন যা দৃষ্টি শক্তি ভাল রাখে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

টমেটো: এটি একটি জনপ্রিয় সবজি, ক্যালরিতে ভরপুর এবং ভিটামিন সি রয়েছে প্রচুর পরিমান। ত্বক, চুল, চুলের রুক্ষভাব, চর্মরোগ, স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে। শরীরের মাংসপেশীকে মজবুত করে।

পালং শাক: পালং শাকে উচ্চ মানের পুষ্টিগুণ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এর সঙ্গে ফলিক এসিড ক্যালসিয়াম ও আয়রন রয়েছে প্রচুর পরিমাণে।

ফুলকপি: ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিনস এ, বি ও সি। এছাড়াও আয়রন ফসফরাস পটাসিয়াম ও সালফারের ঘাটতি নেই এই শীতের সবজিতে। এতে আয়রন থাকায় গর্ভবতী মা, বাড়ন্ত শিশু ও বেশি পরিশ্রমি লোকের জন্য খুবই উপকারী।

মূলা: মূলা কাঁচা এবং রান্না উভয় অবস্থায় খাওয়া যায় মূলাতে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ অনেক বেশি এটি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। হৃদরোগের ঝুকি কমায় আলসার ও বদহজম দূর করতে সাহায্য করে।
শীতের সবজির পুষ্টিকথা

আরও পড়ুন: ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে উপকারী যেসব ফল

বাঁধাকপি: এটি খুব সহজেই রান্না করা যায়। ভিটামিন সি ও ই রয়েছে। পাকস্থলি পরিষ্কার বদহজমসহ নানা রকম রোগের প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে।

শিম: এটি পুষ্টিকর, উদ্ভিজ আমিষের ভালো উৎস। শুকানো শিমের বিজে আমিষ ও স্নেহ জাতীয় পদার্থ আছে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও ডায়রিয়ার প্রকোপ কমায়।

ব্রকলি: এটি কপি জাতীয় সবজি। বর্তমানে আমাদের দেশে ব্রকলি চাষ করা হচ্ছে। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। এটি চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

ধনে পাতা: এতে রয়েছে ভিটামিন সি, এ, এবং ফলিক এসিড যা ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয়। রাতকানা রোগের প্রকোপ এবং কোলেষ্টেরল কমাতে ধনে পাতা কাজ করে। ধনে পাতা আয়রন তৈরিতে সহায়তা করে। এছাড়া ও ধনে পাতায় আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা নানাবিধ ওষুধের ভূমিকা পালন করে।

সবজিতে প্রচুর পরিমাণ অ্যন্টিঅক্সিডেন্ট উপদান থাকে। যা ত্বকের বার্ধক্য রোধে ভূমিকা রাখে। এছাড়া শাকসবজিতে থাকা পানি যা দেহের পানির ঘাটতি দূর করে। 


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence