পলিটেকনিকে ৩ লাখ আসনে ভর্তি ৮১ হাজার, ৭৮ ভাগই খালি

পলিটেকনিকে ৩ লাখ আসনে ভর্তি ৮১ হাজার, ৭৮ ভাগই খালি
পলিটেকনিকে ৩ লাখ আসনে ভর্তি ৮১ হাজার, ৭৮ ভাগই খালি  © ফাইল ছবি

দেশর সরকারি-বেসরকারি ৫৬৪টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আসন রয়েছে ৩ লাখ ৬৭ হাজার। কিন্তু এবার এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছেন মাত্র ৮১ হাজার শিক্ষার্থী। ফলে দেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে প্রায় ৭৮ শতাংশ আসনই শূন্য পড়ে রয়েছে। আগামী ২২ আগস্ট প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষায় অবতীর্ণ হচ্ছেন এসব শিক্ষার্থীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সরকারি পলিটেকনিক আছে ৪৯টি। কিন্তু বাজার চাহিদা না থাকায় বর্তমানে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় ২৭টি কোর্সে। সরকারি পলিটেকনিকে ৪৩ হাজার ৪শ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছিল ৮৫ হাজার শিক্ষার্থী। কিন্তু ভর্তি করা হয় ৪১ হাজার শিক্ষার্থী।

অপরদিকে, ৫১৫টি বেসরকারি পলিটেকনিকে আসন আছে সোয়া ৩ লাখ। আবেদনকারীর সবাই ভর্তির সুযোগ পেলেও ভর্তি হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার। এসএসসিতে ন্যূনতম জিপিএ ২.৫ নিয়ে আবেদনের শর্ত দিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান। বেসরকারিতে ছিল জিপিএ-২।

আরও পড়ুন: অস্থির বরিশাল পলিটেকনিক, নেপথ্যে ছাত্রলীগের আধিপত্য বিস্তার

জানা যায়, ডিপ্লোমা কোর্সের মেয়াদ ৩ বছর করার বিষয়ে সরকার সম্প্রতি কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল। কিন্তু বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একশ্রেণির মালিক ও কারিগরি সেক্টরে কর্মরত ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বাধায় উল্লিখিত কমিটির কার্যক্রম স্থগিত হয়ে আছে।

তিন বছরের কোর্স করা হলে বেসরকারি পলিটেকনিকের মালিকদের এক বছরের আয় কমে যাবে। অন্যদিকে চাকরির বাজারে বর্তমান পদে যারা আছেন, তারা বেশিদিন থাকতে পারবেন না-এসব আশঙ্কা থেকেই দুই গ্রুপ মিলে গেছে। এ ক্ষেত্রে কিছু ছাত্রকে ভুল বুঝিয়ে আবার কাউকে বাধ্য করে তাদের আন্দোলনে যুক্ত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেশে একসময় ৪৫টি ডিপ্লোমা কোর্সে ডিগ্রি দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল।

বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের উদ্যোক্তাদের সংগঠন টেকনিক্যাল এডুকেশন কনসোর্টিয়াম অব বাংলাদেশের (টেকবিডি) সভাপতি প্রকৌশলী আবদুল আজিজ বলেন, কারিগরি শিক্ষায় কিছু মৌলিক প্রতিবন্ধকতা আছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম ৪ বছরের কোর্স, যা পৃথিবীর কোথাও নেই। এটি সর্বোচ্চ ৩ বছর করতে হবে।

তিনি বলেন, যদি ৪ বছরই রাখা হয়, তাহলে তাদের জন্য ২ বছরের স্নাতক নির্ধারণ করতে হবে। তাহলে ভর্তি বেড়ে যাবে। পাশাপাশি বিদ্যমান অন্য সমস্যাও দূর করতে হবে। বিশেষ করে শিক্ষক নিয়োগ, ল্যাবরেটরি-ওয়ার্কশপে পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি নিশ্চিত ও চাকরির বাজারে পদ সৃষ্টি এবং কারিগরিতে ভর্তি অগ্রাধিকার দেওয়া না হলে কোনোদিন এই খাতে শিক্ষার্থী বাড়বে না।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence