সন্তান স্মার্টফোনে আসক্ত হওয়ায় পড়াশোনায় ক্ষতি, অভিভাবকদের জন্য ৫ পরামর্শ
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৫ AM , আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৫ AM
সময়ের সঙ্গে ছোটদের বাড়ছে ‘স্ক্রিন টাইম’। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা ট্যাবলেট বাড়িতে তাদের পড়াশোনার সুবিধা করে দিয়েছে। ইন্টারনেটের দৌলতে বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। কিন্তু দিনের বড় সময় ডিজিটাল পর্দায় চোখ রাখার ফলে ছোটদের একাগ্রতাও কমেছে। পড়াশোনার জন্য ডিজিটাল পর্দা ব্যবহারের কারণে তারা অন্যমনস্ক হয়ে উঠছে।
এ ক্ষেত্রে বাবা-মায়েরা নিচের বিষয়ে খেয়াল রাখতে পারেন
১. পড়াশোনার বাইরে ছোটদের স্ক্রিন টাইম কমানো উচিত। অনেক সময় বাড়িতে বড়রা টিভি বা ল্যাপটপ ব্যবহার করলে ছোটরাও আকর্ষিত হয়। ফলে তাদের কথোপকথন এবং শব্দচয়নে সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন আসতে পারে। বিভিন্ন শিক্ষামূলক অ্যাপ ও কার্টুনের বাইরে তারা যাতে ডিজিটাল পর্দা না ব্যবহার করে, তা খেয়াল রাখা উচিত।
২. ছোটদের মন ভালো রাখতে এবং একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে শরীরচর্চা। কিন্তু মোবাইলে আসক্ত সন্তানরা অনেক সময়ই খেলাধুলোর প্রতি বিমুখ হয়ে ওঠে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দিনে অন্তত এক ঘণ্টা খেলাধুলো অল্পবয়সীদের মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক।
৩. চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য প্রতিদিন ৯ থেকে ১২ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। কিন্তু স্ক্রিন টাইমের জন্য অনেক সময় তাদের পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব রয়ে যায়। রাতে নির্দিষ্ট সময়ে তাদের ঘুমের অভ্যাস তৈরি করতে পারলে স্ক্রিন টাইম কমবে। পরোক্ষভাবে একাগ্রতাও বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: টাইমের ‘শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবন ২০২৫’-এ স্থান পেল আইসিডিডিআরবি’র অন্ত্র-সুস্থকারী খাবার
৪. পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি ও অভিভাবকদের নজরদারি ছোটদের স্ক্রিন টাইম কমাতে পারে। যেমন, পড়াশোনার সময়ে মোবাইল ফোন না দেখা বা শোয়ার ঘরে ডিজিটাল পর্দা নিষিদ্ধ করার মতো ছোট ছোট নিয়ম চালু করা যায়। ফলে ছোটদের মস্তিষ্কের উপর চাপ কমবে। এতে মনঃসংযোগের পরিসরও বৃদ্ধি পাবে।
৫. চিকিৎসকেদের মতে, সামাজিক মেলামেশা ছোটদের মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। তাই মোবাইল ফোন ছেড়ে তারা যদি বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে খেলাধুলো বেশি করে, আঁকা, লেখা বা অন্যান্য শখ তৈরি করতে পারে, তা হলে বুদ্ধির বিকাশ ঘটে। একইসঙ্গে সামাজিক মেলামেশা তাদের একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে। আনন্দবাজার।