স্মার্টফোনে বিপজ্জনক ‘থার্ড পার্টি’ অ্যাপ চিনবেন যেভাবে
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৫, ১১:৪৬ AM , আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১০:০৭ AM
স্মার্টফোনে ছবি এডিট থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া—প্রতিদিনই নানা ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করছেন ব্যবহারকারীরা। প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন অ্যাপও ডাউনলোড করা হয় প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে। তবে লাখো অ্যাপের ভিড়ে কোনটি আসল আর কোনটি নকল, তা বোঝা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, আসলের মতো দেখতে নকল অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহারকারীরা বিপদের মুখে পড়েন। এসব অ্যাপ ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে ডার্ক ওয়েবে বিক্রি করে দেয়, আবার কখনো ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করে। তাই অ্যাপ ডাউনলোডের আগে সতর্ক হওয়া জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নকল বা ক্ষতিকর অ্যাপ চিনে নেওয়ার কয়েকটি সহজ উপায় রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ডাউনলোডের আগে অ্যাপের রিভিউ, রেটিং এবং কতবার ডাউনলোড হয়েছে তা যাচাই করা। বৈধ ও জনপ্রিয় অ্যাপের ডাউনলোড সংখ্যা সাধারণত লাখ কিংবা কোটি ছাড়িয়ে যায়। অথচ একই ধরনের কোনো অ্যাপে যদি মাত্র কয়েক হাজার ডাউনলোড দেখা যায়, তবে সেটি ভুয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এছাড়া অ্যাপটি কবে থেকে স্টোরে এসেছে এবং প্রকাশিত স্ক্রিনশটে কোনো অস্বাভাবিকতা আছে কি না তাও খেয়াল করতে হবে।
এ ছাড়া অ্যাপ ইনস্টল করার সময় সেটি কী ধরনের পারমিশন চাইছে তা পরীক্ষা করাও গুরুত্বপূর্ণ। কোনো অ্যাপ যদি অপ্রয়োজনীয়ভাবে ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, লোকেশন বা কল লগে প্রবেশাধিকার চায়, তবে সেটি ক্ষতিকর হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার জন্য গুগল প্লে প্রোটেক্ট ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্লে স্টোরের প্রোফাইল আইকনে গিয়ে প্লে প্রোটেক্ট চালু করলে অ্যাপ ইনস্টল করার আগে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ক্যান হয়ে যাবে। একই সঙ্গে ডিভাইসটি সার্টিফায়েড কি না সেটিও যাচাই করা প্রয়োজন।
তাছাড়া অ্যাপের বিবরণ মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। বৈধ ডেভেলপাররা সাধারণত সঠিক ও নির্ভুলভাবে বিবরণ লিখে থাকেন। কিন্তু কোনো অ্যাপে যদি বানান বা ব্যাকরণগত ত্রুটি থাকে, তবে সেটি ভুয়া অ্যাপ হওয়ার লক্ষণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সামান্য অসতর্কতার কারণে ক্ষতিকর অ্যাপ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দিতে পারে কিংবা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাই সচেতন থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করলেই এ ধরনের বিপদ থেকে বাঁচা সম্ভব।