শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা
প্রস্তাবিত কাঠামোয় বিশ্ববিদ্যালয় হলে নারীর উচ্চশিক্ষা সংকোচন হবে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪৯ AM , আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫০ AM
ঢাকার বড় সাতটি সরকারি কলেজের জন্য যে প্রক্রিয়ায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেটি বাস্তবায়িত হলে নারী শিক্ষা তথা উচ্চশিক্ষা সংকোচন হবে। এছাড়াও শিক্ষা ক্যাডারের বৈষম্য বাড়বে এবং অন্ধকারের গহিনে নিপতিত করবে বলে জানিয়েছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলা হয়।
মতবিনিময় সভার বিষয়ে সংগঠনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় সরকারি কলেজে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা (শিক্ষক) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও পদোন্নতি ও গ্রেড বিবেচনায় তারা চরম বৈষম্যের শিকার। সরকারি শিক্ষক কাঠামোতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছেন সরকারি কলেজের অধ্যাপকেরা, যাদের বেতন সর্বোচ্চ বেতন গ্রেড-চতুর্থ। এর মধ্যে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ অধ্যাদেশের মাধ্যমে দেশের উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ঐতিহ্যবাহী ঢাকার সাত কলেজে নারী শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা মারাত্মকভাবে সংকোচন হবে।
শিক্ষকেরা মনে করেন, প্রস্তাবিত কাঠামোয় বিশ্ববিদ্যালয় হলে কলেজগুলোর উচ্চশিক্ষা ও নারী শিক্ষার সংকোচন এবং কলেজের স্বতন্ত্র কাঠামো ও ঐতিহ্য বিলুপ্ত হবে। এমনকি বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের পদও বিলুপ্তির ঝুঁকিতে পড়বে। তাঁরা বলছেন, সাত কলেজের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় হোক, সেটির বিপক্ষে তারাও নন। কিন্তু সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস অবশ্যই পৃথক স্থানে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। মতবিনিময় সভায় সংগঠনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক নাসরীন বেগমসহ বিভিন্ন জেলা ও ইউনিট কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা।
প্রসঙ্গত, সরকারি সাতটি কলেজ হলো-ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বাঙলা কলেজ ও তিতুমীর কলেজ।