দু’দিন স্থগিত থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৯ PM , আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৩ PM
সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের কর্মসূচি দুই দিনের জন্য স্থগিত করেছেন। এর ফলে আগামীকাল শুক্রবার (৫ জুলাই) এবং পরের দিন শনিবার (৬ জুলাই) তারা কর্মবিরতি পালন করবেন না। তবে তাদের দাবি আদায় না হলে আগামী রবিবার (৭ জুলাই) থেকে পুনরায় কর্মবিরতি শুরু করবেন।
গত ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষকরা। এসময় ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক থেকে বিরত রয়েছেন তারা।
জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) কর্মসূচির চতুর্থ দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষকদের আন্দোলনে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, আমরা আগামী রবিবার আবার আমাদের কর্মসূচি পুনরায় শুরু করব। শুক্র ও শনিবার এই দুইদিন কর্মসূচি স্থগিত থাকবে।
এদিকে আজ সকালে সরকারের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ মুহূর্তে এসে স্থগিত হয়ে যায়। ফলে টানা চতুর্থ দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষকরা।
ঢাবির কলা ভবনের সামনে শিক্ষকদের কর্মসূচিতে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, আমরা একটি ইতিবাচক সমাধানের জন্য আশাবাদী। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাথে কথা বলেছি। রাষ্ট্রীয় কিছু বিষয়ে তার উপস্থিত থাকার কারণে তিনি আজ বৈঠকটি ঠিক করতে পারেননি। তিনি আমাদের বলেছেন যে তিনি আমাদের সাথে বসবেন। পরে তিনি আমাদের ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়াকেও একই কথা বলেন।
এছাড়া আজ শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে আরেকটি বৈঠকও হওয়ার কথা ছিল শিক্ষক নেতাদের। সেটিও শেষ মুহূর্তে এসে স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন ফটকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া। সেই ঘোষণার পর ১ জুলাই থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলছে।