আজ থেকে তিন দিনের কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৪২ AM , আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৫৬ AM
আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, সুপার নিউমারারি পদে পদোন্নতি, অধ্যাপক পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত করাসহ বিভিন্ন দাবিতে টানা তিন দিনের কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) থেকে তারা সর্বাত্মক এ কর্মসূচিতে যাবেন বলে সোমবার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। কর্মসূচিকালে ক্লাস ও পরীক্ষার দায়িত্বও পালন করবেন না এ ক্যাডারের কর্মকর্তারা বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ২ অক্টোবর কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে কাজে অংশ না নিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষা ক্যাডারের এসব কর্মকর্তা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের সব সরকারি কলেজ, সরকারি আলীয়া মাদ্রাসা, সরকারি টিটি কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, সকল শিক্ষা বোর্ড, এনসিটিবি, নায়েম, ব্যানবেইসসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর ও অধিদপ্তরে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা সর্বাত্মক এ কর্মবিরতি পালন করবেন।
এ কর্মসূচির সময় ক্লাস, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা, শিক্ষা বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধীনে ভর্তি, ফরম পূরণ, সব ধরনের পরীক্ষা, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও দাপ্তরিক সব কর্মকাণ্ড কর্মবিরতির আওতায় থাকবে।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির যুগ্ম মহাসচিব বিপুল চন্দ্র সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগেই ঘোষণা দিয়েছিলাম আমাদের দাবি আদায় না হলে ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করব। সে অনুযায়ী কর্মসূচি চালিয়ে যাব।”
তিনি বলেন, “৫ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরি। ১৪ সেপ্টেম্বর মাউশিতে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে অবস্থান সুস্পষ্ট করেছি।
“এরপরও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ২ অক্টোবর কর্মবিরতি করেছি। আমরা আশা করেছিলাম কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো পূরণ করবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। একারণে সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে আমরা টানা তিন দিনের কর্মবিরতি পালন করব।”
শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠনটি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা কম্পোজিশন অ্যান্ড ক্যাডার রুলস- ১৯৮০ পরিপন্থি সব নিয়োগবিধি বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে এ আন্দোলন করছে।