বিএনপির চলমান আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের ঘোষণা ঢাবি সাদাদলের
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৩, ০৮:৩৩ PM , আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৩, ০৮:৫২ PM
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বিএনপির কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও গ্রেপ্তারের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি সমর্থিত সাদা দল সমর্থক শিক্ষকরা। আজ রবিবার এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি।
বিবৃতিতে সাদাদল বলছে, সমাজের সচেতন মানুষ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দল সমর্থক শিক্ষকগণ গণতন্ত্র পুরুদ্ধার ও নাগরিকদের ভোটাধিকার সুনিশ্চিত করার জন্য একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে পরিচালিত আন্দোলনে শুধু সংহতি প্রকাশই করছে না, সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণের ব্যাপারেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিগত দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বর্তমান আওয়ামী লীগ দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনসমূহে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারার তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে এদেশের মানুষ আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করছে।
“গণ-মানুষের এ প্রাণের দাবি আদায়ের লক্ষে বিএনপি এবং সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোট যুগপৎভাবে ১ দফাভিত্তিক আন্দোলন করে যাচ্ছে। এ ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার ঢাকার প্রবেশপথে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা হামলা করে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন নস্যাত করার অপচেষ্টা শুরু করেছে। সভা-সমাবেশ করা মানুষের মৌলিক ও নাগরিক অধিকার। পাল্টা রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে এ নাগরিক অধিকার প্রয়োগে বাধা এবং ন্যাক্কারজনক হামলা ও নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারর মাধ্যমে সরকারের অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এ ধরনের ফ্যাসিবাদী ও একগুঁয়েমি আচরণ দেশে নতুনভাবে সংঘাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। দেশ ও জাতির স্বার্থে এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।”
বিবৃতিতে বলা হয়, অগণতান্ত্রিক আচরণ, মানবাধিকার লংঘন, সীমাহীন দুর্নীতি ইত্যাদির ফলে বর্তমান সরকার কেবল দেশের জনগণর কাছেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। একটি সুষ্ঠূ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে সরকারের উপর দেশি-বিদেশি চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার অস্বস্তিতে পড়েছে। এমতাবস্থায় সরকারী দল রাষ্ট্রীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের সাহায্যে বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমনের পথ বেছে নিচ্ছে। আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে আবারো ক্ষমতায় থাকার চক্রান্ত করছে। আমরা মনে করি, এবার তাদের এ অপচেষ্ট সফল হবে না। কাজেই দেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে জনদাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সরকারের পদত্যাগ এবং একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা প্রদানের জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।