কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বেসরকারি শিক্ষকদের

জাতীয়করণের দাবিতে মাধ্যমিক শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি
জাতীয়করণের দাবিতে মাধ্যমিক শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি  © ফাইল ছবি

মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না আসলে শিক্ষকরা আরো কঠোর আন্দোলনের দিকে যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণের দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) ব্যানারে গত মঙ্গলবার (১১ জুলাই) থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে সারা দেশের কয়েকশ শিক্ষক। 

এখন পর্যন্ত উর্ধ্বতন মহল থেকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কোন যোগাযোগ করা হয়নি উল্লেখ করে আরো কঠোর আন্দোলনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া। তিনি বলেন, আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই বিষয়ে আরো আগে থেকে যোগাযোগ করে আসছি। কোন আশানুরূপ ফল না পেয়ে আমরা অবস্থান কর্মসূচী পালন করছি। 

আরো পড়ুনঃ সরকারি শিক্ষকদের ন্যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন কেন নয়?

এতেও এখন পর্যন্ত মন্ত্রণালয় আমাদের সঙ্গে কোন আলোচনা করেনি। সারাদেশের শিক্ষকদের এনে আমাদের সমাগম আরো বড় করবো। আগামীকাল (১৪ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। প্রয়োজনে সেখানে আরো কঠোর আন্দোলনের ডাক আসতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিটিই সভাপতি। 

এর আগে গত মঙ্গলবার (১১ জুলাই) থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়া শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, সব মাধ্যমিক স্কুল ও উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ সরকারি করার ঘোষণা না আসা পর্যন্ত এ অবস্থান কর্মসূচি চলবে বলে। সারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষকরা এ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শিক্ষক নেতারা বলেছেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। একই কারিকুলামে একই সিলেবাসে পাঠদান করিয়েও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের পার্থক্য অনেক।

শিক্ষক নেতারা আরও বলেছেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধানদের থেকে এক ধাপ নিচে বেতন দেয়া হচ্ছে। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। এই বৈষম্য দূর করতে হবে। 


সর্বশেষ সংবাদ