আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলেন ফেনীর আশিক

মিফতাহুল আবেদীন আশিক ও আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়
মিফতাহুল আবেদীন আশিক ও আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন ও খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের সন্তান হাফেজ মিফতাহুল আবেদীন আশিক। চলতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভর্তির জন্য ১০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মনোনীত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আশিক একজন।

শিক্ষাজীবনে আশিক ফেনী পৌরসভার বিরিঞ্চি সুফিয়া নুরিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েন। এরপর ফেনী আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল সম্পন্ন করেন এবং টঙ্গী তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম সম্পন্ন করেন। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত।

আশিকের বাবা মাওলানা আতিকুল্লাহ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আশিকের পড়াশোনার প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল। সে সব সময় জ্ঞান অর্জনে উৎসাহী ছিল এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করত। একজন বাবা হিসেবে আমি সর্বদা তার পাশে থাকার চেষ্টা করেছি, তাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও উৎসাহ দিয়েছি, যেন সে তার লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ় থাকতে পারে। আমি আশিকের এই সাফল্যে গর্বিত এবং তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। সবাই আমার সন্তানের জন্য দোয়া করবেন, যেন সে আরও বড় কিছু করতে পারে এবং সমাজের কল্যাণে অবদান রাখতে সক্ষম হয়।’

আরও পড়ুন: একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ যমজ দুই বোনের

বিরিঞ্চি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শাহ মুহাম্মদ ইয়াসিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘হাফেজ আশিকের এ অর্জনে আমরা গর্বিত। ভবিষ্যতে সে ভানো আলেম হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রে অবদান রাখবে এই প্রত্যাশা থাকল।’

আশিক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি জ্ঞানের কাবা হিসেবে পরিচিত। এখানে পড়া ছিল আমার আজন্ম লালিত স্বপ্ন। সুযোগ পাওয়ায় আমি আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত জ্ঞান দিয়ে আমি মুসলিম উম্মাহর খেদমতে নিজেকে নিয়োজিত রাখব।’

আরও পড়ুন: ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাজিমাত: রাবি শিক্ষার্থী শুভর মাসিক আয় ২ লক্ষ টাকা

উল্লেখ্য, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় মিসরের কায়রো শহরে‌ অবস্থিত একটি বিখ্যাত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি মিসরের সবচেয়ে পুরানো ডিগ্রি প্রদানকারী এবং ইসলামি জ্ঞানার্জনে সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়। ইসলামি শিক্ষার উদ্দেশ্য নিয়ে একটি কেন্দ্র হিসেবে ফাতেমীয় বংশ দ্বারা ৯৭০ বা ৯৭২ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোরআন এবং বিস্তারিতভাবে ইসলামি আইন শিক্ষা গ্রহণ করেন। এ ছাড়া সাধারণ বিষয়াবলিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যার মধ্যে যুক্তিবিদ্যা, ব্যাকরণ, অলঙ্কারশাস্ত্র ও জ্যোতির্বিজ্ঞানসহ ইত্যাদি আধুনিক শাস্ত্র উল্লেখযোগ্য।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence