শিক্ষা দিবসে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন সমূহের সমাবেশ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:৪৮ PM , আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:৪৮ PM
প্রগতিশীল ৮টি ছাত্র সংগঠনের আয়োজনে ৫৯তম শিক্ষা দিবস উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সহ-সভাপতি ছায়েদুল হক নিশানের সঞ্চালনায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের (বিদ্রোহী অংশ) সহ-সভাপতি অনিক রায়। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মইনুদ্দিন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সহ-সভাপতি দীপা মল্লিক, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক দীলিপ রায়, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিফ অনিক, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শুভাশিষ চাকমা।
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল শহীদ মিনার চত্বর হয়ে টিএসসি দিয়ে শাহবাগ প্রদক্ষীণ করে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনে মোস্তফা, বাবুল, ওয়াজিউল্লাহ যে কারণে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিল সেই দাবী আমাদের আজও পূরণ হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর অতিক্রম করে আজও শাসকশ্রেণী শিক্ষা সংকোচন নীতি বাস্তবায়ন করে চলেছে, সার্বজনীন শিক্ষার অধিকার ভূলুণ্ঠিত করছে, করোনাকালীন সময়ে আমরা এর নজির দেখতে পাই। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বলে যে একটা কথা আছে তা করোনাকালীন সময়ে মানুষ ভুলতে বসেছে। শিক্ষা ছাড়াই একটা জাতী চলতে পারে এই নজির আওয়ামীলীগ সরকার তৈরী করেছে।
বক্তারা আরও বলেন, ১৯৬২ সালে পাকিস্তানীরা তাদের মতাদর্শ বাস্তবায়ন করার জন্য ‘শরিফ কমিশন’র মাধ্যমে যে শিক্ষানীতি তৈরি করেছিল আজও আমাদের দেশের যে ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগ ঠিক একইভাবে কবির চৌধুরীর শিক্ষানীতির মাধ্যমে দলীয় মতাদর্শ বাস্তবায়ন করতে চায় এবং একদল এমন মানুষ তৈরী করতে চায় যারা হবে মানবিক বোধহীন দক্ষ টেকনিশিয়ান। করোনাকালীন সময়ে তারা শিক্ষার সিলেবাস ও শিক্ষার্থী মূল্যায়নে যে পরিবর্তন আনছে এটা তারই নমুনা। একদিকে তারা এটা করছে আরেকদিকে ধর্মীয় মৌলবাদী শক্তি হেফাজত ইসলামের সাথে আপোস করে শিক্ষার নীতি এবং পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আনছে, যা ৬২ টির শিক্ষা আন্দোলনের চেতনার পরিপন্থী।
সভাপতির বক্তব্যে মাসুদ রানা বলেন, ১৯৬২ সালে দেশ পরাধীন ছিল। তখন এই পরাধীনতার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে আমরা আশা করেছিলাম যে দেশ স্বাধীন হলে মানুষের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত হবে। শিক্ষা বাণিজ্য বন্ধ হবে। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা দেখলাম স্বাধীনতার পর পঞ্চাশ বছরে যারাই দেশ পরিচালনা করেছে, সেটা আওয়ামী লীগ হোক আর বিএনপি ই হোক ওই একই কায়দায় পূর্বের সরকারগুলোর শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করেছে। ইতিহাসকে স্মরণ করার তাৎপর্য এখানেই যে আজকের দিনেও শিক্ষার উপর শাসক শ্রেণীর আক্রমণের চক্রান্ত রুখে দিতে হবে। সেই জায়গা থেকেই আজকে আমরা শিক্ষা দিবস পালন করছি।