জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকাসহ চার বিভাগে জুলাই ঐক্যের বিক্ষোভ

ঢাকায় জুলাই ঐক্যের বিক্ষোভ
ঢাকায় জুলাই ঐক্যের বিক্ষোভ  © সংগৃহীত

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও হাসিনার ফাঁসির দাবিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণ-অভ্যুত্থানের ঐক্যবদ্ধ শক্তি ‘জুলাই ঐক্য’। মিছিল শেষে জুলাই ঐক্যের নেতারা বলেন, গত দুদিন আওয়ামী লীগ একের পর এক অগ্নি সন্ত্রাস করে যাচ্ছে। অনেক হয়েছে আর নয়, এবার যেখানেই আওয়ামী লীগ দেখা যাবে সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সায়েন্সল্যাবরটারি মোড় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আংশিক প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ, জাতীয় জাদুঘরের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে জুলাই ঐক্য। 

জুলাই ঐক্যের সংগঠক ইসরাফিল ফরাজী বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ক্লোজ, এ দেশে আর আওয়ামী লীগ ফিরবে না। এ দেশে আর মুজিববাদ ফিরবে না। এটা চব্বিশের বাংলাদেশ। এ দেশ ছাত্র জনতার। এ দেশ কৃষকের। এই দেশ আমাদের শহিদ পরিবারের। ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষ হাসিনাকে নিয়ে রায় দিয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনার রায়ের দিন ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, এই দিনকে ঘিরে অগ্নি সন্ত্রাস করছে নিষিদ্ধ খুনি লীগের নেতাকর্মীরা। আমরা বদলা নিতে চাই না। তবে এই অগ্নিসন্ত্রাস না থামলে জুলাইয়ের প্রতিটি হত্যার প্রতিশোধে নেওয়া হবে। 

আরও পড়ুন: ঢাকায় সিরিজ অগ্নিকাণ্ড, পুলিশ বলছে ‘ইঞ্জিন ত্রুটি-মেকানিকের ভুল-সিগারেটের আগুন’

জুলাই ঐক্যের সংগঠক ও ডাকসুর সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক এবি জুবায়ের বলেন, বাংলাদেশে আজ যা হচ্ছে তা কেবল প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে। ইন্টারিমের সুশীলরা আজকে চুপ। দেশে যখন একের পর এক অগ্নিসন্ত্রাস চলছে, তখন প্রশাসন নীরব। অভিলম্বে লীগের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। যে সব জায়গায় আওয়ামী লীগের অগ্নি সন্ত্রাসের কারণে নিরীহ ব্যবসায়িদের গাড়ি পোড়ানো হয়েছে, তাদের ক্ষতি পূরণ রাষ্ট্রকে দিতে হবে। 

জুবায়ের বলেন, জুলাই ঐক্য রাস্তায় আছে। আমরা রাস্তাতেই থাকব। কোনো প্রকার সন্ত্রাস জুলাই ঐক্য মানবে না। এখন পর্যন্ত এই সরকারকে আমরা নিরাপত্তা দিচ্ছি। অথচ সরকারের উচিত ছিল আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই সরকার যদি লীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে আমরাই ওদের জন্য যথেষ্ট হবো।     

জুলাই ঐক্যের সংগঠক ও ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও নাশকতা সৃষ্টি ও জ্বালাও-পোড়াও করছে। শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের দৃশ্যমান বিচার না হওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে আওয়ামী লীগের খুনিদের বিচার করতে হবে। 

তিনি বলেন, জুলাই সনদ ছাড়া কোনও নির্বাচন নয়, নির্বাচন হবে কেবল জুলাই সনদের ভিত্তিতে। দৃশ্যমান বিচার ও জুলাই সনদ ঘোষণা না হওয়ায় জনগণের ক্ষোভ বাড়ছে। এ সময় বিক্ষোভ মিছিল থেকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে ও প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সারা দেশে গণঅবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়।

মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, শহিদ পরিবারের সদস্য, আহত ও জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক প্লাবন তারিক, বুরহান মাহমুদ, ডিউক হুদা, ফাহিম ফারুকী, মো. ওয়ালীউল্ল্যাহ, আল সা’য়াদ, আব্বাসীয়া আব্বাসসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।


সর্বশেষ সংবাদ