যারা মাদকসেবীর দাড়ি-টুপি দেখে কান্না করছেন, তারা শাপলা ট্র্যাজেডিতে কতটা কেঁদেছিলেন?
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৯ PM , আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৯ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে অবৈধ দোকান, উদ্বাস্তু, ভবঘুরে ও নেশাগ্রস্তদের উচ্ছেদ অভিযানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এবার এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন রাকসুর নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহ উদ্দীন আম্মার।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ডাকসু নেতাদের সমর্থন দিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে আম্মার লেখেন, এবি জুবায়ের, মোসাদ্দেক আলী ইবনে মুহাম্মদ, সর্ব মিত্র চাকমাদের কোনো পদক্ষেপ মানেই এখন সমালোচনার ঝড়। কিন্তু আসল প্রেক্ষাপটটা কেউ বোঝে না, আর বোঝার চেষ্টাও করে না। রাবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটা প্রশ্ন করি- ক্যাম্পাসে ভিক্ষুকদের যে সমিতি আছে সেটা আপনাদের কাছে কতটা পজিটিভ মনে হয়?
তিনি লেখেন, প্রায় সবাই বলবে এক জায়গায় পাঁচ মিনিট বসলে তিন-চারজন ভিক্ষুক এসে দাঁড়ায়,পকেটে টাকা নে্ তবুও ইমব্যারেসিং সিচুয়েশনে পড়তে হয়। পড়াশোনার পরিবেশে এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই বাস্তব সমস্যার কথা বললেই একদল স্পেশাল শিক্ষার্থী শুরু করে আবেগঘন পোস্ট, চোখের জল ফেলা লেখা, ব্যাশিং ,তারা যেন বাস্তবতার চেয়ে রিয়েকশন নিয়েই বেশি আগ্রহী।
তিনি আরও লেখেন, সর্ব মিত্ররা যে বলেছে এই ভিক্ষুকরা মাদকসেবীর আমি আরও যোগ করব, সেটা হলো এই ভিক্ষুক ও তথাকথিত উদ্বাস্তু শ্রেণির মধ্যেই আছে কিছু গুপ্তচর চক্র। যারা ভেতর থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও সরবরাহ করে। এটা ভয়াবহ রকমের নিরাপত্তা ঝুঁকি যেটা এড়িয়ে যাওয়া যায় না। আমরা চাই না ক্যাম্পাসে মানবিকতার নামে অনিরাপত্তা টিকে থাকুক। তাই এসব অনুপ্রবেশকারীদের উচ্ছেদে আমরা কাজ শুরু করব দ্রুতই।
আম্মার লেখেন, যারা কালকের মাদকসেবীর দাড়ি আর টুপি দেখে কান্না করতেছেন, তারা ২০১৩ এর শাপলা ট্র্যাজেডিতে কতটা কান্না করেছিলেন সেটাও দেখাবেন কাইন্ডলি। যখন দাড়ি-টুপিকে মর্যাদা দেওয়া উচিত তখন চুপ ছিলেন, এখন দাড়ি-টুপিতে গাঁজাখোরদের নিয়ে এত সিমপ্যাথি দেখানোটাও সন্দেহজনক।
পোস্টে রাকসুর পরিবেশ ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে আবদুল্লাহ আল মাসুদ এবং সহ-পরিবেশ ও সমাজসেবা সম্পাদক মাসুমা ইসলাম মোমোকে ম্যানশন দিয়ে আম্মার লেখেন, আপনারা কাজ শুরু করে দেন নির্বাহী সদস্যদের নিয়ে।