কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে জাবি ছাত্রদলের দুই গ্রুপের হাতাহাতি
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৫, ০৫:১৪ PM , আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৩২ PM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি ও নব গঠিত হল কমিটি নিয়ে বিতর্কের মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে দুই গ্রুপের উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং জাবি ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা ও বিরোধ সমাধানে আলোচনা জন্য জাতীয়বাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির ও সিনিয়র সহসভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসে আসেন।
এ সময় দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার ভেতরে বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের আলোচনার সময় পদবঞ্চিত গ্রুপের নেতাকর্মীরা জাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সুপার ফাইভকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এ সময় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীর মধ্যে দফায় দফায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে সুপার ফাইভের অনুপস্থিতিতে বেলা একটার দিকে বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে আলোচনায় বসেন কেন্দ্রীয় নেতারা। পদবঞ্চিত গ্রুপের নেতাকর্মীরা এই কমিটিকে বিলুপ্তের দাবি জানান। তারা অভিযোগ করেন, যোগ্য নেতাকর্মীদের পদ না দিয়ে সুপার ফাইভ তাদের নিজস্ব ম্যান দিয়ে কমিটি দিয়েছেন এবং সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী দিয়ে হল কমিটি ও আহ্বায়ক কমিটি দেওয়ার অভিযোগও করেন তারা।
আরও পড়ুন: নর্দান ইউনিভার্সিটির ভিসি নিয়োগে টালবাহানা, একজন ইউজিসি সদস্যের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
এ বিষয়ে নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, ‘জাবি ছাত্রদলের কমিটি হয়েছে। সবার চাওয়া পাওয়া শতভাগ পূরণ হয়নি। ছাত্রদল একটি বৃহৎ সংগঠন। সে হিসেবে চাইলেও সবার চাওয়া-পাওয়া পূরণ করা সম্ভব নয়। তাদের কথা শুনেছি, আরও শুনব। আমরা আশা করছি বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে।’
এর আগে গত ৮ আগস্ট শাখা ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি, ১৭টি হলে ও একটি অনুষদে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কমিটিতে ছাত্রলীগ, ছাত্রশিবির, ছিনতাইকারীসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্তরা পদ পেয়েছেন, এমন অভিযোগ তুলে শোডাউন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। অন্যদিকে কমিটি দেওয়ার পর থেকে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক, সদস্যসচিবসহ শীর্ষ পাঁচ নেতাকে ৯ দিন ধরে ক্যাম্পাসে দেখা যায়নি। আজ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে তারা ক্যাম্পাসে এলে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের মধ্য এ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।