মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার বিচার দাবিতে বাকৃবিতে ছাত্র ফ্রন্টের বিক্ষোভ
- বাকৃবি প্রদায়ক
- প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫১ PM , আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০২:১৪ AM
ঢাকার মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগকে পিটিয়ে ও ইট-পাথর দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা এবং খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদলের সাবেক এক নেতাকে গুলি করে ও রগ কেটে হত্যা এবং চাঁদপুরে এক মসজিদের ইমামকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় দায়ীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বাকৃবি শাখা।
শনিবার (১২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনের মুক্তমঞ্চের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বাকৃবির সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সঞ্জয় রায় বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা ও বিচারব্যবস্থা বর্তমানে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। গত এক বছরে অসংখ্য খুনের ঘটনা ঘটলেও কোনোটিরই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও আইন ও বিচারব্যবস্থার সংস্কারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
এ সময় বাকৃবির সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ হাসান ওয়ালিদ বলেন, সারা দেশে চলমান অব্যাহত খুন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির মাত্রাহীন নৃশংসতার দৃশ্য দেশের কোনো বিবেকবান মানুষের পক্ষে অবলোকন করা সম্ভব নয়। মধ্যযুগীয় কায়দায় যেভাবে পাথর দিয়ে থেঁতলে লাশের ওপর বীভৎস নৃত্য করা হয়েছে, তা মানুষের হৃদয়ে তীব্র নাড়া দিয়েছে। দীর্ঘ ফ্যাসিস্ট শাসনামলে বিচারবিহীন শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি, তারেক রহমানের প্রশ্ন
সমাবেশে বক্তারা প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ও বিরাজমান বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে ‘সামাজিক সংক্রামক ব্যাধি’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এই ব্যাধিকে নির্মূল করে অবিলম্বে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশের প্রতিটি খুনের ঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বক্তারা বিএনপিসহ সব সন্ত্রাসী ও লুটপাটকারী অপশক্তিকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে যদি কেউ অভ্যুত্থানের চেতনাকে হত্যা করে লুটপাট ও মাফিয়াতন্ত্রের রাজনীতি কায়েম করতে চায়, তবে দেশের মানুষ তা কখনোই মেনে নেবে না। ৫ আগস্টের ঐতিহাসিক রায় দেশের মানুষ ইতোমধ্যেই দিয়ে দিয়েছে। এখন সময় এসেছে জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে রাজনৈতিক পুনর্গঠনের।
পরিশেষে বক্তারা দেশের জনগণকে যেকোনো অন্যায় ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।