রাষ্ট্রকে মজলুমদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: শিবির সভাপতি

জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন শিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম
জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন শিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, রাষ্ট্রকে এ টি এম আজহারুল ইসলামসহ সব মজলুমের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামীর জনসভায় বিশেষ বক্তা হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।

শিবির সভাপতি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ না হলেও তারা জুলাই অভুত্থানকে ওন করতে পারেনি। তাদের উদাসীনতা, অযোগ্যতা ও দুর্বলতার কারণে তারা বিপ্লবকে ধারণ করতে পারেনি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে জাহিদুল ইসলাম, ‘আপনার স্বাভাবিক কোনো প্রক্রিয়াতে ক্ষমতায় অধিষ্ঠ হননি। আপনারা আমাদের দেশে শত শত ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর ভর করে অধিষ্ঠ হয়েছেন। এ জন্য আপনাদের বিপ্লবী চেতনা ধারণ করে আবু সাঈদ-মুগ্ধদের খুনিদের বিচার সম্পন্ন করতে হবে। ক্ষমতাসীন দল ও প্রধান দল। কারা এ দেশকে চালাবে। তাই নিজেদের ক্ষমতাসীন দল ও প্রধান দল হিসেবে পরিচয় দেওয়া থেকে বিরত ধাকুন।’

আরও পড়ুন: অভ্যুত্থান ‘মেটিকুলাসলি ডিজাইনড’ স্বীকার করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ, দিলেন ব্যাখ্যাও

তিনি বলেন, ‘আমরা কারও রক্ত চক্ষুকে ভয় পাই না। আমরা শুধু আল্লাহকে ভয় করি। আমরা শহীদ আবু সাঈদের দলের মানুষ। আমরা এই হাত দিয়ে অসংখ্য শহীদদের কবরে শায়িত করেছি। এই হাতে অনেক শহীদের রক্ত এখনো লেগে আছে। তাই আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। বরং এদেশের ছাত্র সমাজের, যুবসমাজের সাইকোলজি বোঝার চেষ্টা করবেন। এই ছাত্র সমাজের সাইকোলজি বুঝে রাজনীতি করবেন। আগামী এদেশ শাসন করবে, যাদের মধ্যে দেশ প্রেম আছে তারাই।’

শিবির সভাপতি আরও বলেন, ‘রংপুর অঞ্চল সাহসিকতার অঞ্চল। জুলাই গণঅভুত্থ্যানে আবু সাঈদ ও তাহিরের মতো ২২ জন জীবন দিয়েছে। তাই রংপুরকে অবহেলা না করে, সুষম বণ্টনের মাধ্যমে রংপুরের উন্নয়ন করতে হবে। দীর্ঘদিনের চাওয়া রংপুরের তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনা করে রংপুরকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন এই প্রত্যাশা করছি।’

আরও পড়ুন: কুবিতে পোষ্য কোটায় ভর্তি উপাচার্যের মেয়ে, যা বলছেন সংশ্লিষ্টরা

এর আগে সকাল থেকেই জনসভাস্থলে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। দূরদূরান্ত থেকে রিকশা, অটোরিকশা, ভ্যান, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে জনসভায় জড়ো হন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। মাঠেই দুটি জামাতের মাধ্যমে জুমার নামাজ আদায় করেন তারা। এ ছাড়া রংপুর নগরীর বিভিন্ন মসজিদে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে জনসভা মাঠে প্রবেশ করেন তারা। সমাবেশস্থল ছাড়াও ডিসির মোড়, কাছারি বাজার, আরডিআরএস মোড়সহ বিভিন্ন সড়কে নেতাকর্মীদের উপচে পড়া উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।

উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সব খুনির বিচার, প্রয়োজনীয় সব সংস্কারের পর নির্বাচনসহ চার দফা দাবিতে জনসভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রংপুর মহানগর ও জেলা শাখা।


সর্বশেষ সংবাদ