ঢাবিতে নবীন শিক্ষার্থীদের আবাসন-সংকট, ভিসির কাছে শিবিরের ৪ দাবি

ঢাবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিচ্ছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী
ঢাবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিচ্ছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী  © টিডিসি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের আবাসন-সংক্রান্ত সংকট নিরসনে চার দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ইসলামী ছাত্র শিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। 

রবিবার (২৯ জুন) এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ ও সেক্রেটারি মহিউদ্দীন খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য ভর্তি হওয়া ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবাসন-সংক্রান্ত কোনো নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত বা সময়সীমা এখনো জানানো হয়নি। অথচ তাদের নিয়মিত পাঠদান আগামী ২ জুলাই শুরু হতে যাচ্ছে। ক্লাস শুরুর ঘোষণা সত্ত্বেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চরম দায়িত্বহীনতা ও ব্যর্থতা হিসেবে মনে করছি।’

আরও পড়ুন: ‘জালিয়াতি’ করে ১৩ বছর ধরে বেরোবির শিক্ষক, তদন্তে উচ্চপর্যায়ের কমিটি

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়‌, ‘বৈষম্যহীন ক্যাম্পাস গঠনের অভিপ্রায়ে সংঘটিত ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দায়িত্ব নেয়া নতুন প্রশাসন বিগত ১১ মাসেও শিক্ষার্থীদের আবাসন-সংকট নিরসনে কোন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেনি শিক্ষার্থীরা কোথায় থাকবে, কীভাবে ক্লাস করবে-এই অনিশ্চয়তার বোঝা শিক্ষাজীবনের শুরুতেই তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ফলে তাদের শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে ইসলামী ছাত্র শিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা চার দফা দাবি পেশ করে‌।‌ দাবিগুলো হলো-

>> নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য অবিলম্বে আবাসন-সংক্রান্ত একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা প্রকাশ করতে হবে। যেসব শিক্ষার্থীর আবাসিকতা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে, তাদের সিট বাতিল করে নবাগতদের জন্য বরাদ্দ দিতে হবে। সিট বরাদ্দে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও রাজনৈতিক পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

>> সিট-সংকটের অস্থায়ী সমাধান হিসেবে ক্যাম্পাসসংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ী হোস্টেলের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেখান থেকে মেধা ও প্রয়োজনের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের হলে স্থানান্তরের জন্য একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

আরও পড়ুন: ৯ দফা দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন ঘেরাও

>> অথবা শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা হারে আবাসনভাতা (বৃত্তি) প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যত দিন সিট বরাদ্দ সম্ভব না হবে, তত দিন এ ভাতা বহাল থাকবে। সিট বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বৃত্তি বন্ধ হয়ে যাবে।

>> ৪ জুলাইয়ের ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যেই গণরুম সংস্কৃতির কবর রচিত হয়েছে, সেই সংস্কৃতি যেন শিক্ষার্থীদের দুর্বলতা ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে আবারও ফিরে না আসে। প্রশাসন যেন কোনোভাবেই সংকটের আপাত সমাধান হিসেবে গণরুম সৃষ্টির অপচেষ্টা না করে।


সর্বশেষ সংবাদ