সন্ত্রাস নয়, বিরাজনীতিকরণ-অগণতান্ত্রিকতার মোকাবেলা হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে: ছাত্র ইউনিয়ন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৬ PM , আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:০৬ PM
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপর সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ‘কুয়েটে সন্ত্রাসী হামলার বিচার করো’ শীর্ষক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি) খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপর সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার খবর পর্যবেক্ষণ করে কুয়েটের শিক্ষার্থী নন এমন অনেক সন্ত্রাসীদের সংশ্লিষ্টতাও দেখা যায়।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাইম ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনামলে শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগ যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলো, তার পুনরাবৃত্তি কোনোভাবেই কাম্য নয়। স্বৈরাচারের বিচারহীনতার সংস্কৃতি, সেই সময়ের সন্ত্রাসের সংস্কৃতিকে স্থায়িত্ব দেয়। গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে যেন কোনোভাবেই সন্ত্রাসীরা প্রশ্রয় না পায়, তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে হামলার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘সাংগঠনিক রাজনীতিতে যুক্ত না হওয়ার অধিকার যেমন প্রত্যেক শিক্ষার্থী তথা নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার তেমনি সংগঠিত হওয়ার কিংবা সংগঠনে যুক্ত হওয়ার অধিকারও সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত। নাগরিকের এই অধিকারে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ কাম্য না। আজকের হামলায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সংশ্লিষ্টতা নিন্দনীয়। রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করা কিংবা যেকোনো উদ্দেশ্যেই সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানো ন্যাক্কারজনক, বরং গণতান্ত্রিক উপায়ে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় করা উচিত।’
সন্ত্রাসী হামলার তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘ছাত্রদলের প্রশ্রয়ে যারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কুয়েট ক্যাম্পাসে হামলা চালিয়ে শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করেছে এবং তার পূর্বে মিছিলের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া ছাত্রদল কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে যারা সংঘর্ষের সৃষ্টি করেছে উভয় গোষ্ঠীকে তদন্তসাপেক্ষে বিচারের আওতায় এনে সামনের দিনের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন জরুরি।’
তারা বলেন, ‘সন্ত্রাসের ঘটনা মোকাবেলায় গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকার এবং বিভিন্ন স্তরের প্রশাসন যে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, কুয়েটের ঘটনা তারই ফলাফল। দ্রুততম সময়ের মধ্যে “স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি” কর্তৃক হামলা, রাষ্ট্রচিন্তার কৃষক সমাবেশে জামাতের হামলা, সারাদেশে মাজার ভাঙচুর, সাংস্কৃতিক আয়োজন, মেয়েদের ফুটবল ম্যাচ পণ্ড করার মত ঘটনাসমূহ, কুয়েটের সন্ত্রাসের বিচার করাসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিককরণ ছাড়া এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের উত্তরণের কোনো পথ খোলা নেই।’