মাহমুদুর রহমানকে একুশে পদকে মনোনীত করায় বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর প্রতিবাদ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০০ PM , আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৪:০৫ PM
সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানকে একুশে পদকের জন্য মনোনীত করায় বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী প্রতিবাদ জানিয়েছে ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ছাত্র মৈত্রীর দপ্তর সম্পাদক তৈয়ব ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এশিয়া এনার্জির ঘৃণ্য দালালকে একুশে পদকে মনোনীত করে সাম্রাজ্যবাদের মদদপুষ্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ’২৪ এর অভ্যুত্থান ও ফুলবাড়ি গণঅভ্যুত্থানকে মুখোমুখি দাঁড় করালো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট ফুলবাড়ীতে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা জনগণের আন্দোলনের বিরোধিতাকারী, এশিয়া এনার্জির দালাল, আন্দোলনে হত্যায় ইন্ধনদাতা মাহমুদুর রহমানকে একুশে পদকে মনোনীত করায় বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
যৌথ বিবৃতিতে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায় ও সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, ‘ফুলবাড়িসহ উত্তরবঙ্গ ধ্বংসের সাম্রাজ্যবাদী বহুজাতিক কোম্পানির মাধ্যমে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা খনি করার বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলনে লাখো মানুষের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভে গুলিবর্ষণের মূল ইন্ধনদাতা ছিলেন তৎকালীন বিএনপির ৪ দলীয় জোট সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান। সেদিন রাষ্ট্রীয় বাহিনীর গুলিতে তরিকুল, আমীন, সালেকীন শহীদ হন। আহত এবং পঙ্গুত্ব বরণ করেন প্রায় দুই শতাধিক স্থানীয় জনগণ।’
এতে আরো বলা হয়, পরবর্তীতে স্থানীয় জনগণের সম্মিলিত প্রতিরোধ ও সারাদেশের মানুষের ব্যাপক সমর্থনের কারণে রাষ্ট্রীয় বাহিনী পিছু হটে। পাচার হতে রক্ষা পায় বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ কয়লা, ধ্বংস থেকে রক্ষা পায় দিনাজপুরসহ উত্তরবঙ্গের প্রাণ-প্রকৃতি ও প্রতিবেশ। তৎকালীন চার দলীয় জোট সরকার বাধ্য হয় ফুলবাড়ীর জনগণের সাথে ৬ দফা চুক্তিতে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ২০০৬ এর ফুলবাড়ী অভ্যুত্থান এবং ’২৪ এর ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের অংশীদার হিসাবে আমরা মনে করি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফুলবাড়ী হত্যাকাণ্ডের ইন্ধনদাতা মাহমুদুর রহমানকে একুশে পদকে মনোনীত করে ফুলবাড়ীর ছাত্র-কৃষক-শ্রমিক মেহনতি জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে।
তারা অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানের একুশে পদকে মনোনয়ন বাতিলের দাবি এবং রাষ্ট্রের সাথে ফুলবাড়ীর জনগণের সম্পাদিত ৬ দফা চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি জানান।