বিডিআর সদস্যদের পুনর্বাসনসহ ৬ দাবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৩ PM , আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪৫ PM
২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহে শাস্তিপ্রাপ্ত বিডিআর সৈনিকদের মধ্যে ২৫৬ জন মুক্তি পেয়েছে আজ। আওয়ামী আমলে শাস্তিপ্রাপ্ত সকল সদস্যের জন্য পুনরায় সুষ্ঠু তদন্ত ও মুক্তিপ্রাপ্তদের পুনর্বাসনের দাবিসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
আজ রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দাবিগুলো পেশ করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাহিন সরকার। এসময় ৩০ জানুয়ারির মধ্যে দাবি না মানা হলে রাজপথে নামার ঘোষণা দেন তিনি।
দাবিগুলো হলো-
১. সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক দায়েরকৃত মামলার রায় বাতিল করে আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে ঢালাওভাবে আটককৃত বিডিআর সদস্যদের সিআরপিসি ৪০১ ধারায় মুক্তি দিতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ হতে পারে। নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্ত শেষে যারা অপরাধী চিহ্নিত হবে তাদের পুনর্বিচার করতে হবে।
২. গঠিত কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত “ব্যতীত” শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (ঙ) নং ধারা বাদ দিতে হবে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এবং ষড়যন্ত্রের শিকার (জেলবন্দি কিন্তু বাইরে আছেন) দেশপ্রেমিক বিডিআর সদস্যদের কমিশনে যুক্ত করতে হবে।
৩. পিলখানার ভেতরে এবং বাইরে শহীদ হওয়া ৭৪ জনের হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে জেলের ভেতর মারা যাওয়া প্রত্যেক বিডিআর সদস্যের মৃত্যুর সঠিক কারণ উন্মোচন করতে হবে। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে থাকলে দায়ী সকলকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৪. স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে নির্দোষ প্রমাণিত সকল বিডিআর সদস্যকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে এবং ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. বিজিবি আইন ২০১০ বাতিল করে পূর্বের বিডিআর আইন পুনর্বহাল করতে হবে। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে নেতিবাচক ভূমিকা পালন করা বিজিবির নামকে পরিবর্তন করে বিডিআর নাম ফিরিয়ে আনতে হবে।
৬. পিলখানার ভেতরে এবং বাইরে সকল শহীদের স্মরণে জাতীয় দিবস চালু করতে হবে।
মাহিন সরকার বলেন, আজকে কেন তাদের ছেড়ে দিতে হলো? ৫ আগস্ট পরবর্তী কোনো একটা রায়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হলো না কেন? আজকে যারা মুক্তি পেয়েছেন তারা ছাড়াও আরও অনেকে মুক্তি পাওয়ার কথা। এখন থেকে নতুন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। নতুন করে তদন্ত করে মূল অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে কাজ করা আইনজীবী পারভেজ হোসেন বলেন, আজকে যারা মুক্তি পেয়েছেন তাদের মুক্তির মাধ্যমে বিডিআর বিদ্রোহের বিচারের বন্ধ অবস্থায় থাকা দরজা খুলতে পেরেছি। কতজন মুক্তি পেয়েছে তার থেকে বড় কথা আমরা একটি দরজা খুলে রেখে এসেছি।
তিনি বলেন, তদন্ত কমিশন হয়েছে মানে আগে যে তদন্ত হয়েছে সেই তদন্ত ভুল ছিল। সবকিছু আগের সরকার তার অধীনস্থ বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে করেছে। এখন নতুন করে যে কমিশন হয়েছে আমরা দাবি করেছি আটককৃত সকলকে মুক্তি দিয়ে নতুন করে তদন্ত করতে এতে যারা যারা শাস্তির আওতায় আসবে তাদেরকে নতুন করে শাস্তি দিতে।