কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো কে এই আইনজীবী

আইনজীবী মানজুর আল মতিন পীতম
আইনজীবী মানজুর আল মতিন পীতম  © সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে আদালতে আইনি লড়াই করে সাজমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন পীতম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হাজার হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারী পীতমের ছবি শেয়ার করে তাকে ‘রিয়েল হিরো’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

জানা গেছে, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি আব্দুল মতিনের ছেলে ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের তালিকাভুক্ত আইনজীবী পীতম। তিনি ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসএসি ও এইচএসসি পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করে আইনপেশায় মনোনিবেশ করেন। 

বর্তমানে প্রখ্যাত দেওয়ানি আইন ও রিট বিশেষজ্ঞ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগীর জুনিয়র হিসেবে কাজ করছেন। আইনপেশা পরিচালনার পাশাপাশি তিনি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে সংবাদ পাঠ করেন ও টকশো উপস্থাপনা করেন।

আরও পড়ুন: ‘কোটা আন্দোলনে যেতে না পেরে’ ঘরে বসে গানে গানে প্রতিবাদ নর্থ সাউথ ছাত্রীর

কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট মানজুর আল মতিন পীতম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি শিখেছি আইনজীবী হিসেবে সমাজের, মানুষের ও আইনের প্রতি দায়বদ্ধতা কাকে বলে। ১৭ জুলাই রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ফারহান আমার চোখের সামনে গুলিতে মারা গেল। 

ওইদিন আমি আমার স্ত্রী ও আমার বন্ধু রিন্টু আমরা যখন দেখলাম বাচ্চাদের ওপর গুলি হচ্ছে, বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা নিরস্ত্র আবু সাঈদকে এভাবে মেরে ফেলা হলো। তারপর আমার কাছে মনে হয়েছে, কোনো মানুষ সে হোক আওয়ামী লীগের, হোক সে বিএনপির, হোক সে যেকোনো দলের, কোনো মানুষ নিরাপদ নয়।’

তিনি বলেন, সে কারণে আমার মনে হয়েছে পরের গুলিটা তো আমার বুকে লাগতে পারে। কারণ ফারহান কি আমার সন্তান নয়? আবু সাঈদ কি আমার সন্তান নয়? তারপর থেকে রাস্তায় থাকছি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আমাদের ভাইয়েরা রাস্তায় নেমেছেন। 

তারা জানেন রাস্তায় নামলে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে। এই মানুষগুলো কত কষ্ট করে, সর্বোচ্চ বিক্রি করে বিদেশে যান আমরা জানি। সেই মানুষগুলো যখন রাস্তায় নেমেছেন, তাদের জীবন শেষ হয়ে যাবে, তারপরও তারা প্রতিবাদ করেছেন। আর আমরা যারা আরাম-আয়েশে এতগুলো বছর কাটিয়েছি, তাদের ঘরে বসে থাকার সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence