ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে জাবিতে ছাত্র ইউনিয়নের সমাবেশ

ছাত্র ইউনিয়নের সংহতি সমাবেশ
ছাত্র ইউনিয়নের সংহতি সমাবেশ  © টিডিসি ফটো

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী মানুষের পক্ষে সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিব জামানের সঞ্চালনায় বক্তারা ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান এবং ফিলিস্তিনের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্ব নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বক্তারা বলেন, ইসরায়েলের দখলদার বাহিনীর দখলদারিত্ব নিয়ে পশ্চিমাদের কোনো মাথাব্যাথা নেই। অন্যদিকে তারা অধিকারের কথা বলছে, স্বাধীনতার কথা বলছে। আমরা এ দ্বিচারিতার তীব্র নিন্দা জানাই। জাতিসংঘের একটা রেজ্যুলেশন আছে যে আলাদা রাষ্ট্র হবে। কিন্তু জাতিসংঘ এখানে নীরব ভূমিকা পালন করছে। সারা বিশ্বই যেন ইসরায়েলের পক্ষে কথা বলছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের আব্দুল্লাহ আল নোমান ধ্রুব বলেন, ফিলিস্তিনে যে সংকট তা আজ সারা বিশ্বকে আক্রান্ত করেছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের পক্ষে দাড়িয়েছি। এটা কোন সাম্প্রদায়িক বা নীতিগত কোন লড়াই নয়। এটা একটা মানবিক বিপর্যয়। এ বিপর্যয় রোধে আমরা বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। যুগে যুগে বাংলাদেশের ছাত্র—জনতা অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। এ সংকট নিরসনে আমরা সর্বস্তরের জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই।

আর পড়ুন: পশ্চিমারা ইসরায়েলকে দিয়ে অর্থনীতি ও রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায়: বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য

জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, ফিলিস্তিন সংকটে এখানে এক পক্ষে দখলদার ও অপরপক্ষে নির্যাতিত। ইসরাইলীরা এমন একটা জাতি যারা নিরপরাধ ঘর—বাড়ি কেড়ে কিয়েছে। তাদেরকে ঠিক পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর সাথে তুলনা করা যেতে পারে। দুঃখজনক ব্যাপার এ ইস্যুতে আমাদের সরকার কোন কথা বলছে না। আমাদের মনে রাখা দরকার আমরা নিজেরাও এমন সময় পার করে এসেছি। আমাদের ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের পক্ষে দাঁড়ানো উচিত। 

ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, পশ্চিমাদের আগ্রাসী মনোভাবের কারণে দেশে দেশে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনের ভূমি দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ অভিযানে ৪ লাখ মানুষ বাস্তচ্যুত হয়েছে। এটা সুস্পষ্ট আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। আমরা আশা করি ফিলিস্তিনের মুক্তকামী জনগন একদিন স্বাধীন হবে। নিজেদের মাতৃভূমি রক্ষায় তাদের এ সংগ্রাম সফল হবে। আমরা ফিলিস্তিনে গণহত্যার আন্তজার্তিক আইনে বিচার দাবি করছি।

এসময় ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 


সর্বশেষ সংবাদ