ছাত্রলীগের হামলায় আহতদের দেখতে হাসপাতালে ছাত্রদল সভাপতি

আহতদের পাশে শ্রাবণ
আহতদের পাশে শ্রাবণ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় হামলা করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ হামলায় ছাত্র অধিকারের অন্তত ২০-২৫ জন নেতা কর্মী আহত হন। আহতদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। 

শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগের হামলায় আহতদরকে কে দেখতে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। এ সময় তিনি তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন ও দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া করেন।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আধিপত্যবাদ বিরোধী প্রতিবাদী চেতনার অবিনাশী প্রতীকে পরিণত হওয়া বুয়েটের শহীদ আবরার ফাহাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদ’র ব্যানারে স্মরণসভার আয়োজন করে ছাত্র অধিকার পরিষদ। কিন্তু ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের বর্বর নির্যাতনে নিহত শহীদ আবরারের হত্যাকারীদের উত্তরসূরী, আধিপত্যবাদের দোসরদের সেই আয়োজন পছন্দ হয়নি। তাই বিনা উস্কানিতে স্মরণসভায় হামলা করে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা, জাহিদ আহসান, সানাউল্লাহ, পারভেজ মাহমুদসহ অনেক নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করে। 

আরও গুরুতর বিষয় হচ্ছে, আহত নেতাকর্মীদের ঢাকা মেডিকেলে জরুরী বিভাগে নেয়ার পর সেখানেও ছাত্রলীগের উন্মুক্ত সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্য নির্মমভাবে হামলা করে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের গুরুতর আহত করে। মারধরের পর পুলিশ সদস্যরা হামলাকারীদের বদলে ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আখতার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেনসহ আক্রান্ত নেতাকর্মীদেরই গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল এই নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর থেকেই ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগ কখনোই এদেশে বিরোধী মত সহ্য করতে পারেনি। সন্ত্রাস, রাহাজানি, অস্ত্রবাজির রাজত্ব কায়েম করে তারা শিক্ষাঙ্গনগুলোতে একচেটিয়া দখলদারিত্ব কায়েম রাখতে চায়। এই অপশক্তিকে প্রতিহত করতে তারা সকল সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং ছাত্রলীগ নামের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান।


সর্বশেষ সংবাদ