সীমান্তে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে ছাত্র ফেডারেশনের বিক্ষোভ
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:০৭ PM , আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:০৭ PM
সীমান্তে বিএসএফ হামলার প্রতিবাদে ছাত্র ফেডারেশনের মানববন্ধনে হামলাকারীদের চিহ্নিত ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে সংগঠনটি। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে প্রতিবাদ জানিয়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বিএসএফ কর্তৃক দিনাজপুরে মিনারুল ইসলামের হত্যার প্রতিবাদে বক্তারা বলেন, শত শত সীমান্ত হত্যার উদাহরণ আছে। কোনো হত্যার বিচার করা হয়নি। গত ৭ তারিখ মিনারুলকে হত্যা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তার লাশ আনা সম্ভব হয়নি। ফেলানীর বিচার আমরা আজ পর্যন্ত পাইনি। যারা হত্যার শিকার হয়েছে তাদেরকে চোরাকারবারির ট্যাগ দেওয়া হয়েছে। মূলত তারা গরু দাম বৃদ্ধির জন্য সাধারণ মানুষকে হত্যা করে। এর দায় দুই দেশের সরকারের। আমরা আবারও হুশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করুন, চোরাচালান বন্ধ করুন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বক্তারা আরও বলেন, গতকাল পাবনার বেড়ায় ছাত্র ফেডারেশনের উপর যে হামলা হয়। তার বিচার করতে হবে। তারা মূলত ভারতকে খুশি রাখতে এ হামলা করছে। বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আবারও বলছি এ নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে আসতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, খুব শীগ্রই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে। পতনের পর কেউ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পরিচয় দিতে পারবে না। ক্ষমতা চলে গেলে পরিচয় দেওয়ার পর বাংলার মানুষেরা দৌড়ানি দিবে।
মানববন্ধনে কেন্দ্রীয় ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড বলেন, সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করায় পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগ আমাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় ছাত্র ফেডারেশনের লিমন সরকারসহ দশজন ছাত্রনেতা আহত হয়। ছাত্রলীগের গুন্ডারা যখন হামলা করছে পুলিশ সেখানে নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত মিনারের পরিবার লাশ পায়নি। আমরা পত্রিকা মারফত দেখছি একের পর এক পতাকা বৈঠক হচ্ছে। কিন্তু লাশ তারা এখনও হস্তান্তর করেনি। আমরা আশা করেছিলাম প্রধানমন্ত্রী এ খবর পেয়ে নিন্দা জানাবেন। মিনার ও ফেলানীর মত যে শত শত হত্যা হচ্ছে সেই হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে একটা সুষ্ঠু সমাধান করে আসবেন। আমরা দেখলাম সীমান্ত হত্যা নিয়ে একটি শব্দ হয়নি। সীমান্তে ভারী অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধের দাবি দীর্ঘদিন ধরে হচ্ছে। কিন্তু সরকারের উচ্চ মহল সে দাবি এখনও বাস্তবায়ন করতে পারছেন না। আজকে বাংলাদেশের লাশের উপর দাড়িয়ে তারা গদি রক্ষায় মগ্ন। গদির কাছে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ, মানুষের জীবন ও আমাদের সার্বভৌমত্ব সবকিছু ধুলোয় মিশে গেছে।
মানববন্ধন শেষে ঢাবির টিএসসি প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ গিয়ে মশাল মিছিলটি শেষ করে।