বালক বিদ্যালয়ে ভর্তির তালিকায় বালিকার নাম, লটারির প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২৪ AM , আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৫ AM
চুয়াডাঙ্গার ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি তালিকায় একটি বালিকার নাম উঠে এসেছে। এতে এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বালকদের জন্য নির্ধারিত বিদ্যালয়টিতে ভর্তির লটারিতে জুলেখা খাতুন নামে এক বালিকা নির্বাচিত হন। এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যালয়টি শুধু বালকদের জন্য হলেও তালিকায় একটি মেয়ে শিক্ষার্থীর নাম আসায় অনেকে লটারির প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভর্তির লটারির ফল প্রকাশ করা হয়। বেলা ২টার পর আনুষ্ঠানিকভাবে অনলাইনে এবং স্কুল নোটিশ বোর্ডে ফলাফল পাওয়া যায়। প্রকাশিত তালিকায় চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির (দিবা শাখা) ভর্তি তালিকার ৭১ নম্বর সিরিয়ালে উঠে আসে ‘জুলেখা খাতুনের’ নাম।
অভিভাবকরা বলছেন, প্রতি বছরই ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও ভুলের অভিযোগ শোনা যায়। এর আগেও চুয়াডাঙ্গার দুইটি বালক-বালিকা বিদ্যালয়ে একই ধরনের ভুল হয়েছিল। এবারও ডিজিটাল লটারিতে এমন ত্রুটি দেখা যাওয়ায় অভিভাবকদের উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন আরা খাতুন বলেন, ‘আমি চাকরির পরীক্ষার হলে আছি, পরে কথা বলব’।
আরও পড়ুন: লটারির মতো ‘উদ্ভট সিস্টেমে’ ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করা উচিত: সারজিস
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, যেহেতু ভর্তি লটারির পুরো প্রক্রিয়া ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই যদি বালক বিদ্যালয়ের তালিকায় বালিকার নাম আসে, সেটি ঢাকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংশোধন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ১২ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির লটারিতে সাবিহা ইসলাম নামে এক বালিকার নাম আসে। এক শিক্ষার্থীর নাম একাধিকবার এসেছিল।