প্রথম ধাপে লটারিতে স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেল ৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২০ PM , আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২৫ PM
ডিজিটাল লটারিতে দেশের সব সরকারি এবং মেট্রোপলিটন ও জেলা-উপজেলা সদরের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৯৯ জন শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্কুলের ভর্তির লটারি প্রক্রিয়া শুরু হয়।
প্রথম ধাপে ৬৮৯টি সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য ১ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জন ও ৩ হাজার ৩৬০টি বেসরকারি স্কুলের ভর্তির জন্য ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জন নির্বাচিত হয়েছেন। লটারি প্রক্রিয়া শেষ হলে দুপুরে পৌনে তিনটায় অনুষ্ঠানস্থলে ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার উপপরিচালক ইউনুস ফারুকী নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ঘোষণা করেন।
ডিজিটাল লটারির ভর্তির ফল নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (https://gsa.teletalk.com.bd) ওয়েবসাইট এবং যেকোনো টেলিটক মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে পাওয়া যাবে বলেও তুলে ধরেন এ কর্মকর্তা।
সরকারিতে ফাঁকা ১৪ হাজার
৬৮৯টি সরকারি স্কুলে ১ লাখ ২১ হাজার ৫৯৬টি আসনে ৭ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৮ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন, ১ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জন শিক্ষার্থী লটারিতে নির্বাচনের পর এ স্কুলগুলোর ১৪ হাজার ৭৫টি আসন ফাঁকা থাকছে।
বেসরকারিতে আসন খালি ৮ লাখের বেশি
আর মহানগর এবং জেলা ও উপজেলা সদরের ৩ হাজার ৩৬০টি বেসরকারি স্কুলের ১০ লাখ ৭২ হাজার ৯১৭টি আসনে ভর্তির আবেদন করেছিলেন ৩ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন শিক্ষার্থী, তাদের মধ্যে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জন নির্বাচনের পত ৮ লাখ ৪৩ হাজার ১৬০টি আসন খালি আছে।
ভর্তি শুরু ১৭ ডিসেম্বর
লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর ভর্তি হতে পারবেন বলে উল্লেখ করে ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ইউনুস ফারুকীর বলেন, ‘এবারও ভর্তির ক্ষেত্রে গতবারের মত দুটি অপেক্ষমান তালিকা থাকবে। ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর প্রথম ওয়েটিং লিস্ট থেকে এবং ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ওয়েটিং লিস্ট থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে।’
স্কুলে ভর্তির কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে আসেননি শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার, যদিও মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছিল তিনি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন। এদিন সকালে সরকারি স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়া উদ্বোধন করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের কলেজ শাখার অতিরিক্ত সচিব মো. শাহজাহান মিয়া ও উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত সচিব বেগম বদরুন নাহার।
পরে বেসরকারি স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়া উদ্বোধন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের প্রশাসন শাখার অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান। ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়ায় সহায়তা দেওয়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিফোন অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিকাল পৌনে তিনটায় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ইউনুস ফারুকীর হাতে ফলাফল হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক বিএম আব্দুল হান্নান, মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল, টেলিটক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল মাবুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক জাহিদ মো. ফিরোজ, টেলিটক ডিজিটাল সার্ভিসের ম্যানেজার জাহিদুর রহমানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কমাতে এবং কোচিং-বাণিজ্য ঠেকাতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনা করেছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। ২০২০ সালে মহামারীর মধ্যে প্রথমবার স্কুলে ভর্তির জন্য সরকার লটারি পদ্ধতি চালু করে। এরপর থেকে প্রতি বছরই সে পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।