নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি আছে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ

নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা
নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা  © সংগৃহীত


পৃথিবীর অন্যতম দুর্নীতিমুক্ত, শান্তিপূর্ণ দেশ নিউজিল্যান্ড। চমৎকার প্রাকৃতিক পরিবেশ পরিমণ্ডিত এই দেশটি এখন সেখানকার শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের সুযোগ উন্মুক্ত করেছে। তাই এটি এখন অনেকেরই পছন্দের শীর্ষ তালিকায়।

নিউজিল্যান্ডে মাত্র আটটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এগুলোর প্রতিটি উচ্চমানের গুণগত শিক্ষা দিয়ে থাকে। বৈশ্বিক ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান রয়েছে শীর্ষ সারিতে।

টিউশন ফি
উচ্চশিক্ষার খরচ এখানে তুলনামূলক বেশি। তবে খরচ প্রধানত নির্ভর করে পছন্দের প্রতিষ্ঠান, বিষয় ও কোন পর্যায়ে পড়াশোনা করবেন, তার ওপর। স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনার খরচ পড়বে সাধারণভাবে বছরে ১৮ হাজার থেকে ২৫ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার। আর স্নাতকোত্তরে খরচ দাঁড়াবে বছরে ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার। তবে শিক্ষার্থীকে তাঁর অথবা তাঁর পরিবারের ব্যাংক হিসাবে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা দেখাতে হবে। শুধু টাকা দেখালেই হবে না, টাকার উৎস, সরকারি কর ও অন্যান্য কাগজপত্রও দেখাতে হবে।

বৃত্তি
পড়াশোনার খরচ কমানোর জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নানা ধরনের বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। দেশটির সরকার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি উৎস থেকে তাঁরা বৃত্তি পেতে পারেন। এখানে স্কলারশিপের সুযোগ থাকলেও স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে স্কলারশিপ পাওয়া একটু প্রতিযোগিতামূলক। কারণ বাংলাদেশের পড়াশোনার মানের সঙ্গে এখানের পড়াশোনার মানের আকাশ-পাতাল পার্থক্য। তবে ডক্টরেটের ক্ষেত্রে অনেক বড় সুযোগ থাকে।

আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ সুবিধা

সুযোগ-সুবিধা
সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ রয়েছে। নিউজিল্যান্ডে এক বা দেড় বছর পড়াশোনার পর একজন শিক্ষার্থী এক বছরের জন্য চাকরি খোঁজার অনুমতি পেয়ে থাকেন। যে বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন সে বিষয়ের ওপর যেকোনো একটি চাকরি পেলেই দুই বছর পূর্ণ সময় কাজ করার অনুমতি দেয় নিউজিল্যান্ড সরকার। মোট চার থেকে সাড়ে চার বছর অবস্থানকালীন দুই বছরের কাজের অভিজ্ঞতা হলেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন শিক্ষার্থীরা। তা ছাড়া নিউজিল্যান্ডের নাগরিকত্ব থাকলে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকত্ব একদম বিনা মূল্যে পাওয়া যায়।

আবেদনের নিয়ম
উচ্চমাধ্যমিকের পরেই নিউজিল্যান্ডে পড়াশোনার জন্য আবেদন করা যাবে। তবে এসএসসি ও এইচএসসির প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপিএ-৩.৫ থাকতে হবে। বিবিএ, ব্যাচেলর অব ইনফরমেশন টেকনোলজি, ডিপ্লোমা ইন বিজনেস, ডিপ্লোমা ইন আইটি, ডিপ্লোমা ইন হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, আর্থ সায়েন্স, ইকোলজি, ইকোনমিকস, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, এমবিএ ইত্যাদি নিয়ে এখানে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে।

আগ্রহী শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ৬ বা ৬.৫ আইইএলটিএস স্কোর থাকতে হবে। কোনো শিক্ষার্থীর পড়াশোনায় বিরতি থাকলে তাঁকে অবশ্যই যথাযথ কারণ এবং প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তির সময় এবং মেধার ভিত্তিতে অফার লেটার দেয়।

আবেদন করার নিয়ম
যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক সেখানকার ঠিকানায় সরাসরি আবেদন করা যায়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনপত্র অনলাইনেও পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে শিক্ষাগত সব কাগজসহ মার্কশিট, আবেদনপত্রের ফি পরিশোধের রসিদ, পাসপোর্টের ফটোকপি, স্পনসরের কাছ থেকে পাওয়া আর্থিক দায়দায়িত্বের চিঠি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি। উল্লেখ্য, প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র অবশ্যই ইংরেজিতে হতে হবে।

আবেদন করতে দেখুন নিচের ওয়েবসাইটগুলো- 

www.cornell.ac.nz

www.uunz.ac.nz
www.regent.ac.nz   
www.waiariki.ac.nz
www.nzse.ac.nz   
www.edenz.ac.nz
www.nznc.ac.nz


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence