স্কলারশিপ নিয়ে পিএইচডি করুন নিউজিল্যান্ডের ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে

ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়, নিউজিল্যান্ড
ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়, নিউজিল্যান্ড  © সংগৃহীত

বিশ্বের শন্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় নিউজিল্যান্ড প্রথম সারিতে। দেশটিকে পৃথিবীর অন্যতম দুর্নীতিমুক্ত দেশও বলা যায়। দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত দেশটি মূলত দুইটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। ২০২০ সালের বৈশ্বিক মানব উন্নয়ন সূচকে চৌদ্দতম অবস্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় ৮ম অবস্থানে। চমৎকার প্রাকৃতিক পরিবেশ পরিমণ্ডিত এ দেশটি এখন শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের সুযোগ উন্মুক্ত করেছে। তাই উচ্চশিক্ষার জন্য আন্তার্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে দেশটি দিন দিন আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। দেশটিও নানান ধরনের স্কলারশিপ দিয়ে থাকে।

পিএইচডিতে তেমনই একটি স্কলারশিপ দিচ্ছে নিউজিল্যান্ডের ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশসহ যে কোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। বছরের যে কোনো সময় আবেদন করা যাবে। প্রতিবছর মোট ২০০ জন শিক্ষার্থীকে এ স্কলারশিপ প্রদান করা হয়।

পড়ুন স্নাতকোত্তরে ফুল-ফ্রি স্কলারশিপ দিচ্ছে কাসিম বিশ্ববিদ্যালয়

‘ইউনিভার্সিটি অব ওটাগো ডক্টরাল স্কলারশিপ’ এর আওতায় শিক্ষার্থীদের ৩ বছরের সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। এছাড়া প্রতিবছর মাসিক উপবৃত্তি হিসেবে ২৮ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার প্রদান করা হবে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৬ লক্ষ টাকা। এছাড়াও বিনামূল্যে গবেষণায় অংশগ্রহণের সুযোগ ছাড়াও নানান সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে।

শিক্ষার্থীরা দন্তচিকিৎসা অনুষদ, গ্রামীণ স্বাস্থ্য অনুষদ, জনসংখ্যা স্বাস্থ্য অনুষদ, সাইকোলজিক্যাল মেডিসিন, হিসাববিজ্ঞান ও অর্থ বিভাগ, বায়োমেডিসিন সায়েন্সসহ বিভিন্ন অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে পিএইচডি করতে পারবেন।

আরও পড়ুন ফুল ফ্রি স্কলারশিপ নিয়ে পড়ুন তুরস্কে, বৃত্তি সংখ্যা ৫ হাজার

ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয় নিউজিল্যান্ডের ওটাগো শহরে অবস্থিত প্রাচীন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮৬৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।

সুযোগ-সুবিধাসমূহ:

* ৩ বছরের জন্য সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে।
* বছরে ২৮ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার প্রদান করা হবে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৬ লক্ষ টাকা।
* বিভিন্ন রাজ্যে বিনামূল্যে গবেষণার সুযোগ।
* বিভিন্ন সংস্কৃতিতে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।

যোগ্যতার মানদণ্ড:

* আবেদনকারীদের অবশ্যই স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ভালো ফলাফল থাকতে হবে।
* স্নাতকোত্তরে থিসিস থাকতে হবে।
* গবেষণার প্রতি আগ্রহ থাকতে হবে।
* ইংরেজি দক্ষতা সনদ প্রদর্শন করতে হবে। আইইএলটিএস এ ন্যূনতম ৬.৫ পেতে হবে অথবা টোয়েফল আইবিটি তে ন্যূনতম ৯৫ স্কোর তুলতে হবে।

প্রয়োজনীয় নথি:

* পাসপোর্টের কপি।
* একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট।
* এসওপি।
* ভাষা পরীক্ষার সনদ।

আবেদন প্রক্রিয়া:

অনলাইনে আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে ও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে


সর্বশেষ সংবাদ