ইউরোপে উচ্চশিক্ষায় কম খরচ চেক প্রজাতন্ত্রে, আছে চাকরির সুযোগও
- আফরিন সুলতানা শোভা ও সাগরে হোসেন
- প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩২ PM , আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৫ PM
ইউরোপের দেশ ও সংস্কৃতি অনেক উন্নত। এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থাও অনেক উন্নত। ইউরোপে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকা থাকতে পারে ইউরোপের অন্যতম একটি দেশ চেক প্রজাতন্ত্র। ৯৯ শতাংশ শিক্ষার হার, মেধাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা , শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং উচ্চতর একাডেমিক মানের কারণে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা পাড়ি জমায় শিক্ষার স্বর্গভূমি চেক প্রজাতন্ত্রে। প্রজাতন্ত্রে জীবন যাত্রার খরচ ও টিউশন ফি ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছু কম।
বর্তমানে চেকের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে প্রায় ৪৪,০০০ বিদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। এখানকার বিশ্ব বিদ্যালয়গুলোতে চেক এবং ইংলিশ দুই মিডিয়ামে ব্যাচেলর, মাস্টার এবং পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু আছে। বিশেষ করে বিজ্ঞান, প্রকৌশল এবং চিকিৎসাশাস্ত্রের মতো শাখায় রয়েছে শিক্ষার সুযোগ। রয়েছে পড়াশুনা শেষে চাকরির সুবিধা।চলুন জেনে নেওয়া যাক বিদেশে উচ্চশিক্ষায় আপনি কেন চেক প্রজাতন্ত্রকে বেছে নিবেন।
চেক প্রজাতন্ত্র সম্পর্কে কিছু কথাঃ-
এটি মধ্য ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। রূপকথার গল্প, প্রাণবন্ত সংস্কৃতি এবং দুর্দান্ত স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত চেক প্রজাতন্ত্র। দেশের মধ্যভাগে অবস্থিত বৃহত্তম শহর ও রাজধানীর নাম প্রাগ। ঐতিহাসিক বোহেমিয়া অঞ্চল, মোরাভিয়া অঞ্চল ও সাইলেসিয়া অঞ্চলের অংশবিশেষ নিয়ে দেশটি গঠিত। ইউরোপের অনেক দেশই শরণার্থী সংকটে বিপর্যস্ত। তবে কয়েকটি দেশ এ সংকট থেকে নিজেদের বাইরে রেখেছে। তেমনই এক দেশ চেক প্রজাতন্ত্র। চেক প্রজাতন্ত্রের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ। গথিক, রেনেসাঁস, বারোক ও আধুনিক ধাঁচের স্থাপত্যকলা, নৈসর্গিক দৃশ্যাবলিসমৃদ্ধ গ্রামাঞ্চল, প্রাচীন প্রাসাদ, স্বাস্থ্যসম্মত খনিজ ঝরনা বা স্পা, ফ্রান্ৎস কাফকার লেখা আর আন্তোনিন দ্ভোরাকের সংগীতের জন্য দেশটি বিখ্যাত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত দেশটি সোভিয়েত প্রভাবাধীন ছিল।
উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থাঃ-
চেক প্রজাতন্ত্রে প্রায় ২৭ টি সরকারি ও ৪০ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো দ্যা চার্লস ইউনিভার্সিটি ইন প্রেগ। এ বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৩৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি প্রথম চেক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউরোপের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি। এদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় একই রকম এবং আন্তর্জাতিকভাবে সকল চেক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বীকৃত প্রাপ্ত। সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ চেক মিনিস্ট্রি অব এডুকেশন এবং ইয়থ এন্ড স্পোর্টস নিয়ন্ত্রণ করে। চেক প্রজাতন্ত্রের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বর্যাঙ্কিং শীর্ষ সারিতে রয়েছে।
চেক প্রজাতন্ত্রের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয়ঃ
* চার্লস ইউনিভার্সিটি (Charles University)। কিউএস র্যাঙ্কিং ২৪৮।
* চেক টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি (Czech Technical University)। কিউএস র্যাঙ্কিং ৪৫৪।
* মাসারেক ইউনিভার্সিটি (Masaryk University) । কিউএস র্যাঙ্কিং ৪০০।
* কেমিস্ট্রি অ্যান্ড টেকনোলজি, প্রাগ। কিউএস র্যাঙ্কিং ৫৫৬।
* ব্রনো ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি। কিউএস র্যাঙ্কিং ৬১১।
* প্যালাস্কি ইউনিভার্সিটি অলোমৌচ। কিউএস র্যাঙ্কিং ৬৩১।
* চেক ইউনিভার্সিটি অব লাইফ সায়েন্সেস প্রাগ। কিউএস র্যাঙ্কিং ৭০১ ।
* ইউনিভার্সিটি অব ইকোনমিক্স (University Of Economics) ।
* বিয়ারেনো ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (Brno University of Technology) ।
ভাষাঃ-
উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে স্থানীয় ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক নয়। এমনকি চাকরি ক্ষেত্রে অধিকাংশ চাহিদাসম্পন্ন কোর্সগুলো ইংরেজিতেই পড়ানো হয়। আইইএলটিএস এর পাশাপাশি রয়েছে এমওআই (মিডিয়াম অব ইনস্ট্রাকশন) দিয়ে পড়ার সুযোগ।
চেক প্রজাতন্ত্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অনেক সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চেক ভাষায় পড়ার জন্য এক বছরের একটি ফাউন্ডেশন কোর্স করায়। এরপর প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে ভাষা দক্ষতা যাচাইয়ের ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে ভর্তি নেওয়া হয়। এখানে ভাষা টেস্ট পরীক্ষায় ন্যূনতম স্কোর বি-২, কিছু প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে সি-১ থাকতে হয়। আর ইংরেজিতে পড়ানো কোর্সের জন্য প্রয়োজন ভাষা দক্ষতার সনদ।
আবেদন প্রক্রিয়াঃ-
সাধারণত ফেব্রুয়ারি এবং এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। অনলাইনে ভর্তির আবেদনের জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব পোর্টাল। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য থাকে। যার
মাধ্যমে সহজেই পছন্দের কোর্স খুঁজে বের করা যায়।
প্রথমেই অনলাইনে আবেদন সম্পন্নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা মোতাবেক কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হতে পারে। ইলেকট্রনিক আবেদন সফলভাবে সম্পন্ন করার পর তা প্রিন্ট করতে হবে। পরবর্তীতে তা সই করে সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকযোগে পাঠাতে হয়। প্রার্থীর আবেদন ও কাগজপত্রগুলো যাচাইকরণে ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৬০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
আবেদনের প্রাথমিক ধাপে উতরে গেলে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় জুম বা স্কাইপের মাধ্যমে মৌখিক সাক্ষাৎকার নিতে পারে। যাবতীয় যাচাই-বাছাই শেষে সাধারণত জুনের শেষের দিকে চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যায়।
ফলাফল ইতিবাচক হলে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রথম সেমিস্টারের জন্য টিউশন ফি দিতে বলা হয়। ফি পরিশোধ করার পরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীকে অফার লেটারটি পাঠানো হয়। এটি পরে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করে থাকে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্রঃ-
* শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণের সত্যায়িত কপি।
* সনদ এবং একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ইংরেজির পরিবর্তে বাংলায় হলে সেগুলো চেক বা ইংরেজিতে অনুবাদ এবং নোটারি
করে নিতে হবে।
* প্রশাসনিক ফি প্রদানের প্রমাণ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভেদে এর পরিমাণ ভিন্ন হয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২০ ইউরো
থেকে শুরু হয়ে ৫০ ইউরোর অধিক হতে পারে।
* মোটিভেশন লেটার।
* ২ থেকে ৩টি রেফারেন্স লেটার।
* জীবনবৃত্তান্ত।
* বৃত্তি পেলে বা অন্য কেউ পড়াশোনার খরচ বহন করলে তার প্রমাণ।
* ইংরেজি দক্ষতা পরীক্ষা (সাধারণত পিটিই একাডেমিক, টিওইএফএল ও আইইএলটিএস স্কোর দেখা হয়)।
ভিসা আবেদন পদ্ধতিঃ-
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার পাওয়ার পর শিক্ষার্থীকে তার ভিসার কাজ শুরু করে দিতে হবে। চেক প্রজাতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদি ডি-টাইপ ক্যাটাগরিই হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসা, যেখানে ৯০ দিনের বেশি সময় থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। ভিসার মেয়াদ থাকে সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। পরবর্তীতে ভিসা আবার রিনিউ করতে হয়।
ভিসা আবেদন অনলাইনে করা যাবে। এ ছাড়া ফর্ম ডাউনলোড করে কম্পিউটারের মাধ্যমে অথবা প্রিন্ট করে হাতে লিখেও পূরণ করা যেতে পারে। ফর্মের সব তথ্য নির্ভুলভাবে প্রদানের পর সবশেষে সই করতে হবে।
অনলাইনে আবেদনের লিংক
প্রয়োজনীয় নথিপত্রঃ-
* বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত ভর্তির অফার লেটার।
* দুটি ফাঁকা পৃষ্ঠাসহ একটি বৈধ পাসপোর্ট। (মেয়াদ ন্যূনতম ৩ মাস) ।
* পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
* দেশটিতে থাকার জন্য আর্থিক তহবিলের প্রমাণপত্র (কমপক্ষে ৭৮ হাজার ২৫০ কোরুনা)।
* মেডিকেল রিপোর্ট।
* আবাসন নিশ্চিতকরণের প্রমাণ।
* পুলিশ ক্লিয়ারেন্স (অফিশিয়াল রাবার স্ট্যাম্পসহ চেক ভাষায় অনুবাদ করা হতে হবে)।
* চেক প্রজাতন্ত্রে পৌঁছার দিন থেকে কমপক্ষে ৯০ দিনের জন্য ভ্রমণ চিকিৎসা বিমার প্রমাণপত্র।
উল্লেখ্য, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও পাসপোর্ট ছাড়া আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত সব নথি চেক ভাষায় হতে হবে। পাসপোর্ট ও ছবি ছাড়া কোনো নথি ১৮০ দিনের বেশি পুরোনো হতে পারবে না।
কিভাবে নিবেন ভিসার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্টঃ-
বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের চেক প্রজাতন্ত্রের ভিসার যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য যেতে হয় ভারতের নয়াদিল্লিতে। তাই আবেদনপত্রসহ ভিসার সম্পর্কিত সকল নথি সেখানেই জমা দিতে হবে। তবে আবেদন জমা দেওয়ার আগে ই-মেইলের মাধ্যমে চেক দূতাবাসের কাছ থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
দীর্ঘমেয়াদি ডি-টাইপ ভিসার আবেদনকারীদের জন্য দূতাবাসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার একটি নির্দিষ্ট বুকিং সিস্টেম রয়েছে। বুকিং সিস্টেম প্রতি মাসের প্রথম সোমবার (কর্মদিবস হতে হবে) ভারতীয় সময় বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে চালু করা হয়। আবেদনকারীকে এ সময়ের মধ্যে newdelhi.visa@mzv.gov.cz ই-মেইল ঠিকানায় অ্যাপয়েন্টমেন্টের আবেদন পাঠাতে হবে।
নির্ধারিত তারিখে সকল নথির মূল কপিসহ ভিসার সব কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে দূতাবাসে সশরীর উপস্থিত হতে হবে।দূতাবাসে সাক্ষাৎকারের ক্ষেত্রে চেক, ইংরেজি অথবা হিন্দি ভাষা ব্যবহার করা হয়। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আগে থেকেই যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে সাক্ষাৎকারে উপস্থিত হতে হবে। ভিসা আবেদন ফি ২ হাজার ৫০০ কোরুনা। ভিসার কার্যক্রম সম্পূন্ন হতে সাধারণত ৬০ থেকে ৯০ কর্মদিবস লাগে। আবেদন মঞ্জুর হয়ে গেলে ই-মেইলের মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহের জন্য নির্দিষ্ট তারিখ জানানো হবে।
ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত দূতাবাসের ঠিকানা: ৫০-এম, নীতি মার্গ, চাণক্যপুরী, নতুন দিল্লি, দিল্লি-১১০০২১, ভারত।
কাজের সুযোগঃ-
ইউরোপিয়ান দেশগুলোর নিয়ম অনুযায়ী বিদেশি শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজের সুযোগ পাবেন। চেক প্রজাতন্ত্রে বিভিন্ন রেস্তোরা বা মিনি মার্কেটে কাজ পাবেন। কিন্তু আপনি চাইলে চেক প্রজাতন্ত্রে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টার অধিক কাজ করতে পারবেন। এতে আপনার ভিসা বা অন্য কোনকিছুর জন্য সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। কারণ শিক্ষার্থীরা কত ঘণ্টা কাজ করছে তার কোনো হিসাব রাখা হয় না এবং চেক সরকার শিক্ষার্থীদের আয়ের উপর ট্যাক্স ফ্রি করেছে। তবে মনে রাখবেন, ক্লাস কিন্তু নিয়মিত উপস্থিত থাকতে হবে। ক্লাস নিয়মিত করে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টার অধিক কাজ করলেও সমস্যা নেই।
ইউরোপের প্রাণকেন্দ্রে বসবাসঃ-
চেকপ্রজাতন্ত্রে বসবাস করা মানে ইউরোপের কেন্দ্রে বসবাস করা, কারণ চেক প্রজাতন্ত্রকে চারটি দেশ ঘিরে রেখেছে। দেশটির উত্তরে পোল্যান্ড, পূর্বে স্লোভাকিয়া, দক্ষিণে অস্ট্রিয়া এবং পশ্চিমে জার্মানি। মাত্র দুই তিন ঘণ্টার প্লেন অথবা বাসে ভ্রমণ করে পৌঁছে যেতে পারবেন পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে।
স্বাস্থ্যসেবা এবং বায়োটেকনোলজিঃ-
বয়স্ক জনসংখ্যা, স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো এবং চিকিৎসা গবেষণায় ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটি উন্নতি করছে। জৈবপ্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিকিৎসক, নার্স, ফার্মাসিস্ট, বায়োটেকনোলজি গবেষক এবং স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের জন্য ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে দেশটি অনেক এগিয়ে।
চাকরি ও স্থায়ী বসবাসের সুযোগঃ-
স্নাতক শেষ করার পর শিক্ষার্থীরা চাকরি খোঁজা বা ব্যবসা শুরুর জন্য অতিরিক্ত ৯ মাসের রেসিডেন্স পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারে। দেশজুড়ে কাজের বৈচিত্র্য এবং প্রতি ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভ্যাকেন্সি থাকায় এই সময়টুকুর মধ্যে গ্র্যাজুয়েটরা নিজেদের আয়ের ব্যবস্থা করে নিতে পারে।
এ ছাড়া এখানে টানা পাঁচ বছর বৈধভাবে বসবাসের পর স্থায়ী বসবাসের অনুমতির জন্য আবেদন করা যায়। এই অনুমতির ক্ষেত্রে সময়ের তুলনায় প্রার্থীর বৈধ নথিপত্রকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রাপ্তবয়স্ক প্রার্থীদের জন্য পারমিটের নথি জারি করা হয় ১০ বছরের জন্য। আর ১৫ বছরের কম বয়সীদের নথির মেয়াদ থাকে ৫ বছর। মেয়াদান্তে নথির বৈধতা আবার রিনিউ করা যায়।